প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। মানুষের কল্যাণে তারা কাজ করতে পারে না। অশিক্ষিত-মূর্খদের হাতে দেশ এগোতে পারে না। এদিকে ছাত্রলীগ মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ায়। আমি কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছি, সবাই মাঠে চলে গেছে। মাঠে গিয়ে কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, দেশের যেকোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে ছাত্রলীগ ভূমিকা পালন করে, মানুষের মুক্তির জন্যই এই ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা। ছাত্রলীগ কখনোই পিছপা হয়নি। ১-১১ এর সময়ও ছাত্রলীগ আপোষ করেনি। জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল, তবুও এগিয়ে এসেছিল তারা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের কথা চিন্তা করি, তাহলে যারা হত্যা করেছে তারা কী দিয়েছে জাতিকে? বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চেয়েছে, জয় বাংলা স্লোগান তারা নিষিদ্ধ করেছে। খুনি মোশতাক-জিয়া ক্ষমতায় আসার পর পরাজিত শক্তিকে পুনর্বাসন করেছিল। এখন যে কেউ হত্যার শিকার হলে বিচার চায়, আমার প্রশ্ন হচ্ছে, সেই ১৫ আগস্ট হত্যার পর কি বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না আমাদের?
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন আমাদের। শুধু স্বাধীনতাই দেননি, সারাজীবন মানুষের মুক্তির জন্য তিনি কাজ করে গেছেন। এই ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল বাঙালির মুক্তির জন্য।
এদিন বিকেল পৌনে ৪টার দিকে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের ছাত্রসমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।