আজ শনিবার ৬ জুলাই ২০২৪, ২১শে আষাঢ় ১৪৩১

অবরোধ তুলে নিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

সাঙ্গু ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : বুধবার ৩ জুলাই ২০২৪ ০৭:৪০:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র বহালের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রায় দেড় ঘণ্টা পর শাহবাগ মোড়ের অবরোধ তুলে নিয়েছেন। এতে বিকেল পাঁচটার পর মোড়ের যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

 

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। পরে ৫টা নাগাদ একটি মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরে যান তারা।

 

আন্দোলনের অন্যতম সমম্বয়ক ও দলনিরপেক্ষ ছাত্র সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব নাহিদ ইসলাম বলেন, আগামীকাল আপিল বিভাগের যে শুনানি রয়েছে, তা যেন শিক্ষার্থীদের পক্ষে আসে। কাল বেলা ১১টায় আমরা আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হব।

 

শিক্ষার্থী সারজিস আলম বলেন, আপিল বিভাগের শুনানি চলা পর্যন্ত আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে অপেক্ষা করব। এরপর যা করা দরকার, তাই করব।

 

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রোববার আড়াটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে জড়ো হন এ শিক্ষার্থীরা।

 

পরে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দা সূর্যসেন হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, উপাচার্যের বাসভবন, রাজু ভাস্কর্য, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট মোড় ঘুরে শাহবাগে অবস্থান নেন।

 

পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। এতে শাহবাগ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

 

সম্প্রতি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

 

হাইকোর্ট কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের এই আদেশের বিরুদ্ধে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।  

 

দাবিগুলো হলো

 

২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা।

 

পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠনপূর্বক দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সমস্ত গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যতীত)।

 

সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া।

 

দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।