আজ মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

অপমান-ব্যঙ্গ সহ্য করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছি: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা অফিস : | প্রকাশের সময় : শনিবার ২৯ জুলাই ২০২৩ ০৩:৪৩:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে গিয়ে অনেক ব্যঙ্গ, অপমান সইতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সব অপমান উপেক্ষা করে তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে জানান সরকারপ্রধান।

শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট-২০২৩’- এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে সরকারের সহযোগিতার চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতির সুফল পাচ্ছে এখন দেশ। স্টার্টআপে আরও বিনিয়োগের জন্য দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিনিয়োগ সুরক্ষায় প্রণয়ন করা হয়েছে প্রয়োজনীয় নীতিমালা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে অনেক ব্যঙ্গ শুনতে হয়েছিল। অপমান ও ব্যঙ্গ সহ্য করেও আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছি। সরকার চালাতে গেলে প্রতিনিয়ত নানা সমালোচনা শুনতে হয়। অবশ্য লক্ষ্য থাকলে, কোনো সমালোচনাই সমালোচনা নয়। এখন দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে আমরা ট্যাক্স-ভ্যাট কমিয়ে দিয়েছি।

 

শেখ হাসিনা বলেন, 

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছিলাম। বাংলাদেশ সুযোগ পেয়েছিল বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হওয়ার। কিন্তু তখনকার বিএনপি সরকার সুযোগ নেয়নি। এছাড়া টিউলিপ নামের কারণে বিএনপি সরকার বাতিল করে দিয়েছিল নেদারল্যান্ডের কম্পিউটার সহায়তা। যে কারণে বাংলাদেশকে ৬০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয়।

 

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান চর্চাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মেধা বিকাশের সুযোগ করে দেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। এক সময় যে মেধাবীরা বিদেশে গিয়েছিলেন, তারা এখন দেশে ফিরে তাদের মেধা কাজে লাগাচ্ছেন।

 

গ্রামে বসেও ফ্রিল্যান্সিং করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেটা বিকাশের সুযোগও করে দিয়েছি। চাকরির পেছনে ঘুরবে কেন? নিজেরাই উদ্যোক্তা হবে, চাকরি দেবে। সে সুযোগ আমরা করে দিয়েছি।

 

‘সব কিছুই অনলাইন করা সম্ভব হচ্ছে, এটা যুগান্তকারী পরিবর্তন। ডিজিটাল অর্থনীতির সুফল পাচ্ছে দেশ। আমাদের লক্ষ্য, ২০২৫ সাল নাগাদ ৫টি ইউনিকর্ন বা ১ বিলিয়ন ডলারের স্টার্টআপ কোম্পানি তৈরিতে সহায়তা করা। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বৈশ্বিক সংকটের ধাক্কা এলেও এ অবস্থা থাকবে না। ২০৪১ সাল নাগাদ গড়ে উঠবে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্ট বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তরুণরাই হবে দক্ষ জনশক্তি’, যোগ করেন শেখ হাসিনা।