আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সেনা প্রত্যাহারের কথা বলে গোপনে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০১:০৬:০০ অপরাহ্ন | আন্তর্জাতিক

চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে রাশিয়া ও ইউক্রেন সীমান্তে। উত্তেজনা কমাতে রাশিয়া কিছু সেনা প্রত্যাহারের কথাও জানায়। তবে সেই ঘোষণায় ভরসা রাখতে নারাজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।মুখে সেনা প্রত্যাহারের কথা বললেও রাশিয়া যেকোনও সময় ইউক্রেনের উপরে হামলা চালাতে পারে বলে বুধবার আবারও আশঙ্কা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এবার পেন্টাগনের পক্ষ থেকেও একই অভিযোগ করা হল।

পেন্টাগন জানিয়েছে, সেনা প্রত্যাহারের কথা বলে গোপনে ইউক্রেন সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাশিয়া। সেই উদ্দেশ্যে মোতায়েন করা হয়েছে আরও প্রায় সাত হাজার অতিরিক্ত সেনা।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের এক কর্মকর্তা বুধবার রাতে বলেন, “রাশিয়া দাবি করেছে, তারা ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা ফেরাচ্ছে। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি, সেই দাবি পুরোপুরি মিথ্যা।”

প্রসঙ্গত, মস্কোর পক্ষ থেকে মঙ্গলবার ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের সম্ভাবনা নাকচ করা হয়। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আইগর কোনাশেনকভ জানান, দক্ষিণ ও পশ্চিম প্রদেশের সেনা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট মহড়া শেষ হওয়ায় তারা ঘাঁটিতে ফিরে যাচ্ছে।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাশিয়ার ওই ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও, ন্যাটো জোটের প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেন, “এই বার্তা কিছুটা হলেও আশার আলো দেখাচ্ছে। তবে বাস্তবে রাশিয়া সেনা না সরানো পর্যন্ত ভরসা করা যায় না।”

বস্তুত, রাশিয়া যেকোনও সময় ইউক্রেনের উপর হামলা চালাতে পারে বলে বুধবার আশঙ্কা প্রকাশ করেন বাইডেনও। তিনি বলেন, “রাশিয়া যে সত্যিই সীমান্ত থেকে কিছুটা সেনা সরিয়েছে, তার প্রমাণ কিন্তু আমরা পাইনি। বরং বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রুশ সেনা ইউক্রেন সীমান্ত লাগোয়া এমন জায়গায় রয়েছে, যা এখনও যথেষ্ট ভয়ের। এখনও প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে হামলার।”

সেই সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিন সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলেন, “রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হামলা চালায়, তার ফল ভোগার জন্যও তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা এখনও চাই কূটনৈতিক পথেই এর মীমাংসা হোক।”

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে এক বার্তায় বলেন, “সেনা সরানোর যে প্রতিশ্রুতি রাশিয়া দিয়েছিল, বাস্তবে তার কোনও প্রমাণ এখনও আমরা পাইনি।