দীঘিনালায় কালভার্ট ও বাঘাইহাটে রাস্তা ডুবে গিয়ে দুই দিন খাগড়াছড়ির সঙ্গে সাজেকের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে যান চলাচল। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) খাগড়াছড়ি থেকে বেশ কয়েকটি গাড়ি সাজেকের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। সাজেক থেকে ছেড়ে এসেছে পর্যটকবাহী গাড়ি।
অতি বর্ষণের ফলে উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার প্রধান সড়কের একটি কালভার্ট ডুবে যায়। ফলে খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা যান চলাচল বন্ধ ছিল। যেহেতু সাজেকে দীঘিনালা হয়ে যাতায়াত করতে হয়, তাই সাজেকে যাতায়াতের পথও বন্ধ আছে। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ও বুধবার (৯ আগস্ট) সাজেক থেকে কোনো গাড়ি ছেড়ে আসেনি বা বাঘাইহাট থেকেও সাজেকে কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারেনি। তাই সাজেকে অবস্থানরত পর্যটকরা মঙ্গল ও বুধবার ২দিন সাজেকেই আটকা ছিলেন।
খাগড়াছড়ি সাজেক কাউন্টারের লাইনম্যান আলম বলেন, দুই দিন বন্ধ থাকার পর আজ সকাল থেকে সাজেকে যান চলাচল শুরু হয়েছে। আজ সকালে ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় ২০-২৫টি গাড়ি সাজেকের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। বাঘাইহাট রাস্তা থেকে পানি নেমে গেছে বলে জানতে পেরেছি, তাই আমরা গাড়ি চলাচল শুরু করেছি।
সাজেক জুমঘর ইকো রিসোর্টের ব্যবস্থাপক ইয়ারং ত্রিপুরা বলেন, দুই দিন রাস্তা বন্ধ থাকার পর আজ সকালে সাজেক থেকে গাড়ি ছেড়ে গেছে। যে সকল পর্যটকরা সাজেকে আটকা ছিলেন তারা সকলেই চলে গেছেন। খাগড়াছড়ি থেকে গাড়ি আসলে নতুন পর্যটক প্রবেশ করবেন।
সাজেক রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জেরি লুসাই বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাজেক থেকে গাড়ি খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। বেশকিছু পর্যটক গতকাল ভেঙে ভেঙে কিছুটা পথ গাড়িতে কিছুটা নৌকায় করে চলে গেছেন, যেসকল পর্যটক থেকে গিয়েছিলেন তারাও আজ ফিরে যাচ্ছেন। খাগড়াছড়ি থেকে ছেড়ে আসা গাড়িতে সাজেকে আজ নতুন পর্যটক আসবে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, রাস্তা থেকে পানি নেমে যাওয়ায় আজ সকাল ৯টার দিকে সাজেক থেকে পর্যটকদের গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। খাগড়াছড়ি থেকেও সাজেকের উদ্দেশ্যে কিছু গাড়ি ছেড়ে গেছে বলে জেনেছি।
উল্লেখ্য, পার্বত্য জেলাসমূহে টানা ভারী বর্ষণের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের কারণে খাগড়াছড়ি-সাজেক যান চলাচল বন্ধ থাকায় সাজেকে আটকা ছিলেন পর্যটকরা।