আজ বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’

সর্বোচ্চ ৯৩ কিমি গতিতে আঘাত হানে হাতিয়ায়

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ০৫:১৭:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র রূপ নিয়ে উপকূল অতিক্রমের সময় নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯৩ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানে।

 

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম করার পর দুর্বল হয়ে বর্তমানে পটুয়াখালী ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি স্থলভাগের অভ্যন্তরে আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও বৃষ্টি করিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।

 

 

বর্তমানে মোংলা, পায়রা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর দেখাতে বলা হয়েছে।

 

ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। আর সাগর উত্তাল থাকায় হাতিয়ার সঙ্গে সারা দেশের নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন হাতিয়ায় যাতায়াতকারী যাত্রীরা।

 

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বৃষ্টির মাত্রাও। শুক্রবার সকাল থেকে ভারি বর্ষণও হয়েছে কিছু এলাকায়। মেঘনা নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় তিন থেকে চার ফুট উচ্চতায় বৃদ্ধি পেয়েছে। নোয়াখালীতে শুক্রবার দুপুর ৩ টা পর্যন্ত ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। সূর্যের আলোর দেখা মেলেনি দিনভর।

 

হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপসহ বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বাতাসের তীব্র বেগে সুবর্ণচর ও হাতিয়ায় সড়কের ওপর অনেক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। শীতকালীন সবজি ও আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

 

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য জেলায় ৪৮৫টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। যেখানে তিন লাখ ৪৮ হাজার উপকূলীয় এলাকার লোকজন আশ্রয় নিতে পারতেন। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিপিপি আট হাজার ৩৮০ জন, দুই শতাধিক রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবী, ১০১টি মেডিকেল টিম ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ের জন্য ৪৭৯ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ২৪ লাখ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।