আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

লোহাগাড়ায় নিরাপত্তা চেয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর জিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক, লোহাগাড়া: | প্রকাশের সময় : সোমবার ১০ জুলাই ২০২৩ ০৬:২৫:০০ অপরাহ্ন | দেশ প্রান্তর

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পূর্ব শত্রুতার দ্বন্দ্বের জের ধরে কটূক্তি, গুম, হত্যার হুমকিসহ সামাজিক হেনস্থার অভিযোগ তুলেছে দুবাই প্রবাসীর স্ত্রী নাজমা আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধু। 

এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী নারী সম্প্রতি লোহাগাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেছেন। সে উপজেলার চুনতি রাতারকুল এলাকার ঢুবাই প্রবাসী মুহাম্মদ নোমানের স্ত্রী। সোমবার জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জালাল উদ্দিন।

অভিযোগে প্রকাশ, লোহাগাড়ার চুনতি রাতারকুল এলাকার আবদুস সালামের ছেলে এ.কে খান (৩৩) পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ সৃষ্টি করে আসছে। তার বিরুদ্ধে আমার স্বামীর দায়ের করা হত্যা মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন। এর ধারাবাহিকতায় গত ৩ জুলাই দুপুরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, গুম ও হত্যাসহ নানা ধরনের হুমকি দেন। উচ্চস্বরের শব্দ শুনিয়া ঘটনাস্থলে আসা লোকজন আগাইয়া আসিতে দেখিলে অভিযুক্ত ব্যক্তি আমাকে কটূক্তি ও গালমন্দ করে চলে যায়।

ভুক্তভোগী নারী নাজমা আক্তার জানান, জায়গা জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে আমার ভাসুর আক্তারজ্জিামান বদুকে খুন করে কার আপন ভাতিজা এ.কে খান। ওই হত্যা মামলার বাদী আমার স্বামী। ওই মামলায় কারাভোগ করেন তিনি। জেল থেকে এসেই প্রতিদিন গুম ও হত্যাসহ নানা প্রকার ভয়ভীতি করে যাচ্ছেন। বাড়িতে আমিও আমার দেড় বছরের শিশু কন্যা নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় ভোগছি। নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছি।

অভিযুক্ত এ.কে খান এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের আগের বিষয়টি বাদ দেন। জায়গা জমির বিরোধটি সমাধান হয়েছে। গুম ও হত্যার হুমকি কেন দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি কোন সনদোত্তর দিতে পারেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, বদু খুন হওয়ার পর মামলার আসামীরা পালাতক ছিল। দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার এ.কে খান গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যান। জেলে থেকে বের হয়ে এসে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করে চলছে। নোমানের স্ত্রী নিরাপত্তা হীনতায় ভোগছে বিষয়টি সত্য। 

লোহাগাড়ার চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জালাল আহমদ বলেন, নাজমা আক্তার নামের এক নারী লোহাগাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করেছি। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।