আজ সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মহেশখালী-বদরখালী চ‍্যানেলে সৃজিত প‍্যারাবন কেটে চিংড়ি ঘের নির্মাণের হিড়িক, শঙ্কিত উপকূলবাসী

মোঃ আকিব বিন জাকের, মহেশখালী : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১৯ জানুয়ারী ২০২২ ০৮:৫২:০০ অপরাহ্ন | দেশ প্রান্তর

মহেশখালী-বদরখালী নৌ চ্যানেলে বনবিভাগের সংরক্ষিত এলাকার প্যারাবন কেটে অবৈধ ভাবে নদীর চর দখল করে অবাধে চিংড়ি ঘের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে চকরিয়া উপজেলার বদরখালীর একটি ভূমিদস্যু চক্র। 

 

সূত্রমতে ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রবল সর্বনাশা ঘূর্ণিঝড়ের পর উপকূলীয় অঞ্চল কে রক্ষার জন্য জাপানী সংস্থা ওয়াইস্কে ইন্টারন্যাশনাল বদরখালী চ্যানেলে সবুজ বেষ্টনীর এ বাইন বাগান সৃজন করেন।

 

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মহেশখালী-বদরখালী চ্যানেলের বদরখালী বাজারের ওয়াদা রোড়ের পানি উন্নয়ন বোর্ড সংলগ্ন সুইচ গেইটের পশ্চিম পাশে প‍্যারাবনের শত শত বাইন গাছ কেটে স্ক্রেভেটার দিয়ে মাটি কেটে প্রবাহমান করস্রোতা নদী দখল করে দিন-রাত সমান তালে ওই প্রভাবশালীরা চিংড়ি ঘের নিমার্ণের কাজ চালিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও বনবিভাগ পালন করছে নীরব ভূমিকা। এতে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার ইন্ধন রয়েছে বলে জানা যায়।

 

স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির হতে ইজারা নেওয়ার কথা বলে স্ক্রেভেটার ও শ্রমিক দিয়ে প্রকাশ্যে দিন-দুপুরে নদীর চর দখল করে, বাইন গাছ কেটে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করে যাচ্ছে সংঘবদ্ধ চক্রটি। এর কারণে আমরা শঙ্কিত। কেননা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প‍্যারাবনের এই বাইন গাছ আমাদের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। 

 

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মহেশখালী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, উপকূলের রক্ষা কবচ প্যারাবনের বাইন গাছ কেটে প্রবাহমান নদী দখল করে চিংড়ি ঘের নির্মাণ জগন্যতম অপরাধ। বলতে গেলে দখলের থাবায় মহেশখালী-বদরখালী চ্যানেলের এক সময়ের প্রাণচঞ্চল এই নদীটি এখন সরু খালে পরিণত হয়ে বোবা কান্না করছে। উপকূল রক্ষায় অবিলম্বে নদীটি উদ্ধার করে প্রাণচঞ্চল ফিরে আনা এখন সময়ের দাবী। 

 

এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন, নদী দখলকারীদের প্রশাসন কোনো সময় ছাড় দেয়না। আর যদি নদী দখল করে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করে থাকে, তাহলে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এদিকে যায়গাটি তদারকির দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের বলে জানান চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান।