আজ মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ই কার্তিক ১৪৩১

ভারী বর্ষণে সাতকানিয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, দেয়াল ধসে মা—ছেলের মৃত্য

নুরুল ইসলাম সবুজ, সাতকানিয়া : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২ অগাস্ট ২০২৪ ০৭:৩৮:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম

ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে সাতকানিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল। গত বুধবার থেকে শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকাল পর্যন্ত থেমে থেমে মুষলধারে বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু সমান পানি জমে গেছে। ফলে জলাবদ্ধতার কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভারী বৃষ্টিতে উপজেলার কেঁওচিয়াসহ কয়েকটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু সমান পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। গ্রামীণ সড়ক ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে অনেক এলাকা।

উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, রাস্তাঘাট হাঁটু সমান পানিতে ডুবে রয়েছে। এমনকি অনেক বাড়িঘরেও পানি ঢুকে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। এখানকার অনেক বাসিন্দা বলেন, বৃষ্টি হলেই এলাকা পানিতে ডুবে যায়। বছরের পর বছর ধরে একই যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে। কেঁওচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ওচমান আলী জানান, ইউনিয়নের ১, ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডের অনেক রাস্তা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এদিকে পাহাড়ি ঢলে সাঙ্গু ও ডলুনদীসহ উপজেলার ছোট বড় খালের পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই। এছাড়া পাহাড় ধসের শঙ্কা রয়েছে পাহাড় ঘেঁষা বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে বন্যা দেখা দিতে পারে এ ভয়ে দিন পার করছেন সাতকানিয়াবাসী। এর আগে গত বছরের আগস্টে ভয়াবহ বন্যার ধকল সহ্য করতে হয়েছে সাতকানিয়ার বাসিন্দাদের। বৃষ্টি বাড়ার আভাস থাকায় এবারও বন্যা আতঙ্ক বিরাজ করছে উপজেলাজুড়ে।

এদিকে সাতকানিয়ায় প্রবল বর্ষণে বাড়ির মাটির দেয়াল ধসে মা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন। গত বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের পশ্চিম আফঝল নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন— কোহিনুর আক্তার (৩৬) ও ছেলে মো. ওয়াফি (৫)। একই ঘটনায় মো. জারিফ (১২) নামে আরেক ছেলে আহত হয়।

জানা যায়, ভারি বর্ষণে মাটির বাড়ির দেয়াল ধসে বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই তিনজন আহত হলে ধ্বংসস্তূপ থেকে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালান স্থানীয়রা। বেশ কিছুক্ষণ পরে তিনজনকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মা কোহিনুর আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ছেলে ওয়াফিকে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম শহরে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ‘দেয়াল ধসে নিহতের বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান আমাকে অবহিত করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।’