বোয়ালখালীতে কোচিং সেন্টারে ও বাসায় ছাত্রীদের শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করতো কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর সবুজ চক্রবর্তী অভিজিৎ।
বেশ কিছুদিন ধরে সবুজ এ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলো। গত ৯ জুলাই সবুজের কোচিং সেন্টারের চার ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
সবুজ চক্রবর্তী অভিজিৎ পটিয়া উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের বাসিন্দা। সে কধুরখীল ইউনাইটেড মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ে এমপিওভুক্ত কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর হিসেবে ২০২১ সালে নিয়োজিত হয়।
জানা গেছে, সবুজ বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকার সুবাদে বিদ্যালয়ের সামনের একটি বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে ক্যানভাস নামে একটি কোচিং সেন্টার খুলেন। এছাড়া এর অদূরে চৌধুরী হাট এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে একা থাকেন। যদিও তিনি বিবাহিত বলে জানা গেছে।
কোচিং সেন্টারের ও বাসায় একাধিক ছাত্রীকে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করার বিষয়ে কধুরখীল ইউনাইটেড মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করছেন চারজন ছাত্রী।
ছাত্রীরা অভিযোগ দেওয়ার কথা জানতে পেরে সবুজ ওইদিনই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। তবে তিনি গতকাল বুধবার (১০ জুলাই) বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন বলে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দেখে জানা গেছে।
এসব ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের সামনে সবুজের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সবুজ চক্রবর্তী অভিজিৎ বলেন, অভিযোগকারী শিক্ষার্থীরা অনেক আগেই কোচিং সেন্টার থেকে চলে গেছেন। আমি এ ধরণের অপরাধের সাথে জড়িত নই। এটি পরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়েছে। শিক্ষকদের পরামর্শে পদত্যাগপত্র দিয়েছি। আমিও এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, ছাত্রীদের অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হচ্ছে। এছাড়া সবুজের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কধুরখীল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিউল আজম শেফু বলেন, অভিযোগের বিষয়ে জেনেছি। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভুক্তভোগীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।