টঙ্গীর তুরাগ তীরে আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে এ পর্যন্ত সাতজন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ইজতেমায় আসার পথে আরও দুই মুসল্লি মারা যান।
সর্বশেষ শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত নয় মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
ইজতেমার ময়দানে নিহত মুসল্লিরা হলেন শেরপুর সদর থানার জুগনিবাগ এলাকার মৃত সমশের আলীর ছেলে নওশের আলী (৬৫), ভোলার পরাগগঞ্জ থানার সামানদার এলাকার বেলায়েত হোসেনের ছেলে আ. কাদের (৫৫) ও নেত্রকোনা সদর থানার কালিয়াঝুড়ি এলাকার হোসেন আহম্মদের ছেলে স্বাধীন (৪৫)। তারা তিনজন শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিভিন্ন সময় মারা যান। এর আগে নেত্রকোনা সদর থানার কুমারী বাজার এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি স্বল্পদুগিয়া এলাকার আব্দুস ছোবাহানের ছেলে এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলার ভোল্লা এলাকার নজির আহমেদের ছেলে শাহ আলম (৬০) ও জামালপুর সদর থানার তুলশীপুরের পাকুল্লা এলাকার হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬০) মারা যান।
এছাড়া ইজতেমায় যোগ দিতে আসার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার ধামাউরা এলাকার ইউনুছ মিয়া (৬০) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দীটোলা এলাকার জামান মিয়া (৪০) মারা যান।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এ পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে সাত মুসল্লির মৃত্যু হয় এবং ইজতেমায় আসার পথে আরও দুই মুসল্লি মারা যান। সর্বশেষ শনিবার সকাল পর্যন্ত নয় মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর আম বায়নের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শুরায়ে নিজাম অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।