আজ মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বিপুল ভোটে এমপি হলেন নৌকার মহিউদ্দিন, বাকি ৫ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশের সময় : রবিবার ৩০ জুলাই ২০২৩ ০৯:০৬:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

 

 

চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯২৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মো. সামসুল আলম লাঙ্গল প্রতীকে এক হাজার ৫৭২ ভোট পান। এর মধ্য দিয়ে নৌকার প্রার্থী ছাড়া অন্য পাঁচ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

 

 

 

রবিবার (৩০ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম থেকে এই ফল ঘোষণা করেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান। এর আগে রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৪টায়। ভোট গণনা শেষে মহিউদ্দিন বাচ্চুকে বেসরকারিভাবে জয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

 

উপনির্বাচনে আরও চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া রকেট প্রতীকে ৩৬৯, মোহাম্মদ আরমান আলী বেলুন প্রতীকে ৪৮০, তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত সোনালী আঁশ প্রতীকে এক হাজার ২৩০ ও গণমুক্তি জোটের রশিদ মিয়া ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৭৯ ভোট।

 

 

রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী মোট কাস্ট ভোটের আট ভাগের এক ভাগের বেশি পেতে হতো অন্য প্রার্থীদের। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছাড়া অন্য পাঁচ প্রার্থী সেই পরিমাণ ভোট পাননি। ফলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তাদের।

 

 

এদিকে, ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ১৫৬ কেন্দ্রে এক হাজার ৫৬৩টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন ভবনের কন্ট্রোল রুম থেকে ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান ও রাশেদা সুলতানা। 

 

আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই আসনে ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৪৮ হাজার ৯৩৮ এবং নারী দুই লাখ ৩৯ হাজার ৬৭৭ জন। এ ছাড়া ২৩ জন ভোটার তৃতীয় লিঙ্গের।

 

উল্লেখ্য, গত ২ জুন ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীন। তিনি দীর্ঘদিন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। এই আসনে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পরপর পাঁচবার সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।