চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শিল্পপতি সরওয়ার আলমগীর বলেছেন, ফটিকছড়ি সংখ্যালঘুদের অভয় দিয়েছি। কেউ যাতে তাদের কোন ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা করতে না পারে। যদি কেউ এরকম হামলার চেষ্টা করে তাহলে তাদেরকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। বুধবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সাতটার দিকে ফটিকছড়ির সানমুন কনভেনশন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা আলমগীর আরো বলেন, আমাদের আবু সাঈদ একবার গুলি খেয়ে সরে যায়নি। সে পুনরায় আবার উঠে দাঁড়িয়েছে, তারপর পুলিশ তাকে আবার গুলি করে। সেই গুলিতে রক্তাক্ত হয়ে যায়। সেই আবু সাইদের রক্ত আজ বৃথা যায়নি। গত ১৬টি বছর ধরে আওয়ামী লীগ পুলিশ নিয়ে জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীদেরকে রাত বেড়াতে হয়রানি করেছে। আবু সাঈদরা আজ আন্দোলন করে সে স্বৈরাশাসককে উৎখাত করেছে।
ফটিকছড়ি বিএনপির দুইভাবে বিভক্ত প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমরা বিভক্ত নই, আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। আজকে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। ওরা (আ. লীগ) যারা রাজনীতি করেছিল সব মিথ্যে ছিল। ওরা আর নাই।
উত্তর জেলার বিএনটির এই নেতা বলেন, ছাত্র আন্দোলনকে সফল করতে জাতীয়তাবাদী বিএনপি জামায়াত ইসলাম সাপোর্ট দিয়েছে। এ আন্দোলনে ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের রক্ত ঝরেছে। এর পাশাপাশি হেফাজত ইসলামও সহযোগিতা করেছে।
সরোয়ার আলমগীর বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাজার মন্দির এবং বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা হচ্ছে। এসব কারা করতেছে? কাদের ইঙ্গিত! নিশ্চয়ই আপনারা জানেন, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। যারা লুটপাটের সাথে জড়িত তারা কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী হতে পারে না। দেশনায়ক তারেক রহমান যারা এসব হামলা লুটপাটে জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে দলীয়ভাবে বহিষ্কার করার জন্য স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের বার্তা পরিষ্কার বিএনপি এ ধরনের কোন কাজকর্ম করে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মোবারক হোসেন কাঞ্চন, নাজিমউদ্দিন শাহীন, মোহাম্মদ মনছুর আলম, আজম খান, মুহিব্বুল্লাহ চৌধুরী বাহার, বদিউল আলম, আবুল কালাম, মোহাম্মদ জালাল, আবু তাহের, মোহাম্মদ আবু মনছুর প্রমুখ।