আজ শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর জগন্নাথ মন্দিরের গাছ কাটা নিয়ে দু'পক্ষের দ্বন্দ্ব

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৪৭:০০ অপরাহ্ন | দেশ প্রান্তর

ফটিকছড়ির কাঞ্চননগরের প্রাচীন জগন্নাথ মন্দিরের গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মন্দির পরিচালনা পরিষদ ও সেবায়েতদের মধ্যে চরম দন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। 

কোন রকম আলোচনা ছাড়া ও গোপনে গাছ কর্তনের দায়ে মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাবু নির্মল কান্তি দেব ৪ জনকে বিবাদী করে ফটিকছড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিবাদীরা হলেন, বিধান ভট্টাচার্য (৫৫), চন্দন চক্রবর্তী (৪২), রুপন চক্রবর্ত্তী (৩৮), বিপ্লব কান্তি দেব (৪৫)। 

 

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, দেশের আইন ও প্রথা অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে পরিচালনা কমিটি দ্বারা শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির পরিচালিত হয়ে আসছে। ইতিপূর্বে মন্দিরের সেবায়ত পক্ষ কমিটির বিরোধীয় কিছু লোক নিয়ে মন্দিরের প্রধান ফটক ও মাল খানা স্টোরে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এসময় মন্দির ও তৎ সংলগ্ন জায়গা-জমি সেবায়েত পক্ষের দাবি তুললে আদালতে মামলা ( মামলা নং ২৪০/২০২০) করেন মন্দির পরিচালনা কমিটি। যে মামলটি এখনো চলমান রয়েছে। এছাড়াও মন্দিরে পুজা ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে উভয় পক্ষে বৈঠক হয়। বৈঠকে দু'পক্ষের সিদ্ধান হয় যে, মন্দিরে পুজা ব্যতিত কোন রকম উন্নয়ন কাজ ও সংঘাত হয় এমন কর্মকান্ড করা যাবেনা। কিন্তু সেবায়েত পক্ষ তা না মেনে মন্দিরের ভেতরে সংরক্ষিত থাকা কয়েকটি বড় গাছ কেটে ফেলে। 

 

এ ব্যাপারে নির্মল কান্তি দেব বলেন, 'মন্দিরের সম্পত্তি  নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এর মধ্যে বিধান ভট্টাচার্য্য কিছু বখাটেদের নিয়ে মন্দিরটি দখল করে রেখেছে। স্থানীয় জনসাধারণরা চায় না মন্দির নিয়ে কোন সংঘাত হোক। আমরাও কোন সংঘাত চাই না। যারা মন্দিরের অর্থ সম্পদ আত্নসাৎ করতে চাচ্ছে তাদের ব্যাপারে প্রশাসনের দ্রুদ হস্তক্ষেপ কামনা করছি।'

 

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ডা. বিধান ভট্টাচার্য্য বলেন, মন্দিরে অনুষ্টান করছি আমরা। ওরা মন্দিরে নেয়,ওরা আদালতে। মন্দিরে আছি আমরা। এটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। মন্দিরের উন্নয়নে বাঁশ-গাছ যা যা কাটা দরকার তা তা করা হবে। মন্দিরটি বর্তমানে আমার নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। মামলার রায় যদি ওরা পায় তাহলে আমরা সেখানে একদিনও থাকবো না।' 

 

অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে ফটিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর নুরুল হুদা বলেন, এটা যেহেতু ধর্মীয় বিষয়, সেহেতু উভয় পক্ষকে বসে সমাধান করার জন্য বলে দেয়া হয়েছে।