নতুন মজুরি কাঠামো মেনে নিয়ে পোশাকশ্রমিকদের কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার কাছে খবর আছে, যারা আন্দোলনে উসকানি দিচ্ছে, তারাই কিন্তু লাশ ফেলবে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নতুন মজুরি কাঠামো মেনে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে পোশাকশ্রমিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেটা বাড়ানো হয়েছে, তা নিয়েই তাদের কাজ করতে হবে। তারা কাজ করুক। যখনই সময় আসে, তাদের সবরকম সুবিধা আমরা করে দিই।
পোশাকশ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মাত্র ১৪ বছরে ১৬শ টাকা মজুরি থেকে ৮ হাজার ৩শ টাকা করে দিয়েছি। আবার বাড়িয়ে এখন ১২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। শুধু এটিই না, তাদের মজুরি আবার প্রতি বছরে ৫ শতাংশ করে ইনক্রিমেন্ট হয়।
সরকারি চাকরিজীবীদের সঙ্গে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর তুলনামূলক তথ্য তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, যেখানে আমরা সরকারি কর্মকর্তাদের ৫ শতাংশ বেতন বাড়ালাম, সেখানে পোশাক শ্রমিকদের বেতন ৫৬ শতাংশ বাড়ালেন মালিকেরা। এখানে ৫ শতাংশ আর তাদের জন্য ৫৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, যে কারখানা তাদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করে, তাদের খাদ্য দেয়, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে, সে কারখানায় হামলা, পোড়ানো হলো। ১৯টি কারখানায় আক্রমণ করা হয়েছে।
পোশাকশ্রমিকদের আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি পোশাকশ্রমিকদের কথা একটু বলি। আজ তাদের রাস্তায় নামানো হয়েছে। আমার কাছে খবর আছে তাদের (শ্রমিক) এভাবে রাস্তায় নামাবে এবং তারাই এজেন্ট ঢোকাবে, তাদের ক্ষতি করবে, দরকার হলে লাশ ফেলবে এবং দেশের অবস্থা আরও অস্থিতিশীল করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এরাই এমন অবস্থা সৃষ্টি করবে যাতে তারা চাকরি হারাবে, কাজ হারাবে, গ্রামে গিয়ে পড়ে থাকতে হবে। এখন তারা কী চায়? কারখানা ধ্বংস হয়ে গেলে উৎপাদন ব্যাহত হয়, রপ্তানি ব্যাহত হয়। তাহলে তাদের কাজ থাকবে কোথায়? এটা তো তাদের বুঝতে হবে।
সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।