নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে,চোরাচালান রোধ,অনলাইন জুয়া বন্ধসহ নানা অপরাধ প্রতিরোধে রাত ৯ টার পরে ঔষধের দোকান ছাড়া সব ধরণের দোকান-পাট বন্ধ থাকবে পুরো উপজেলায়।
এ ছাড়া সভাই ব্যাপক আলোচনা হয়েছে
কুরবানীর হাটে দেশী গবাদি পশু বিক্রিতে সাধারণ ও খামারীদের বিড়ম্বনার বিষয়টি। অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এতে।
সভায সভাপতিত্ব করেন,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা।
সভায় ব্যাপক আলোচনা হয়,সীমান্তে গরুর পাশাপাশি সুপারী,পলথিন,ইয়াবা টেবলেটসহ নানা বার্মিজ পণ্যের পাচার বৃদ্ধিতে। এ সবেও অভিযান জোরদারের উপর গুরুত্বারুপ করা হয়।
এছাড়া কিশোর গ্যাং,আলীক্ষং মৌজায় ভূমিদস্যুদের অপতৎপরতা বন্ধে তদন্ত কমিটি গঠন ও সাত দিনে মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমাদানের জন্য বলা হয়েছে।
বিশেষ করে উপজেলায় কিছু কূচক্রি মিথ্যা মামলায় হয়রানী করতে স্থায়ীয় প্রশাসনকে পাশ কেটে বান্দরবানে মামলা-অভিযোগ দিয়ে মানুষকে হয়রানী করছে। যা আইন-শৃংখলা অবনতির আশংকা থাকে।
অনেক বক্তা বলেছেন,রোহিঙ্গা দিয়ে শ্রমিকের কাজ বন্ধ সহ তাদেরকে ব্যবহার
বন্ধ করতে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা পালন করতে হবে। আর অনুমোদিত গণমাধ্যম বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সভায় অনুরুধ জানানো হয়েছে।
সভায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন,
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মংহ্লাওয়াই মার্মা,সহকারী কমিশন (ভূমি) শামসুদ্দিন রেজা,দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাঈনুদ্দিন খালেদ,অফিসার ইনচার্জের প্রতিনিধি এসআই ধীমান বড়ুয়া,কৃষি অফিসার এনামুল হক,
উপজেলা প্রকৌশলী নজুরুল ইসলাম,দোছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইমরান,নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন, বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মো:আলম কোম্পানি, ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ, সোনাইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান এন্যানিং মার্মা,নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেস ক্লাবের ,যুগ্ন আহবায়ক আমিনুল ইসলাম, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম কাজল, সদস্য সানজিদা আক্তার রুনা ,ইউপি সদস্য জায়তুন নাহার প্রমূখ। এছাড়া জনপ্রতিনিধি,উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও এসময় উপস্থিত ছিলেন।