২৩ বছর আগে দায়েরকৃত ডাকাতি ও হত্যা মামলা থেকে বেখসুর খালাস পেয়েছেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য জাফর আলম।
সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন কক্সবাজার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল।
জাফর আলম ছাড়া এ মামলার বাকি ৯ আসামিকেও খালাস দিয়েছেন বিচারক।
তারা হলেন, কফিল উদ্দিন, মো. হাছান প্রকাশ হাছু ওরফে আছু, নুরুল ইসলাম, জিয়াবুল হক প্রকাশ মজিবুল হক প্রকাশ মনিয়া প্রকাশ মানিক প্রকাশ মানিক্যা ডাকাত, কালা মনু, এ কে খান, নুরুল হক, হাসান আলী ও জাফর আলম। রায়কালে আসামিরা হাজির ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট ফরিদুল আলম।
জাফর আলমের পক্ষে এডভোকেট আবু সালাম ও অন্যান্য আসামিদের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট আয়াছুর রহমান।
আদালতের নথিসুত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালের ১০ নভেম্বর চকরিয়ার মানিকপুর এলাকায় যাত্রীবাহী জীপ গাড়িতে দুর্র্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদলের গুলিতে গাড়ির হেলপার নিহত রুহুল আমিন হন। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় মামলা করেন চালক মো. আশরাফুল ইসলাম প্রকাশ টিটু। যার থানা মামলা নং-০৫, জিআর নং-৩৯০/২০০১, এসটি মামলা নং-১১১/২০০৩। অপরাধের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ‘অভিযোগপত্র’ দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আলফাজুর রহমান।
আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করার পরও আদালতে যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে খালাস পেয়ে গেলেন সকল আাসমি।
আদালত বলছে, মামলার বাদি তার এজাহারের বক্তব্যকে সম্পূর্ণ সমর্থন করে সাক্ষ্য দেননি। উপরন্তু মামলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষি ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আদালতে উপস্থাপন করে সাক্ষ্য প্রদানে রাষ্ট্রপক্ষ সমর্থ হননি। চার্জশীটভুক্ত আাসমিগণ ঘটনায় জড়িত ছিল মর্মে আইনানুগভাবে নিরপেক্ষ, নির্ভরযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য, গ্রহণযোগ্য সাক্ষ্য-প্রমাণ দ্বারা রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে না পারায় আসামিরা বেখসুর খালাস পেয়েছেন।