আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
দু'পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা

চৌফলদন্ডীর নতুন মহালে অসহায় ব্যক্তির বাড়ী ঘেষে দেয়াল নির্মাণ

মোঃ মিজানুর রহমান আজাদ, ঈদগাঁও : | প্রকাশের সময় : সোমবার ১৭ জানুয়ারী ২০২২ ১০:৪৫:০০ অপরাহ্ন | দেশ প্রান্তর

ককসবাজার সদরের চৌফলদন্ডী ইউনিয়নে পুর্ব নতুন মহাল গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের পুত্র আব্দুল হকের বসৎ ভিটা দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে, জালালাবাদের জৈনক মমতাজ আহমদ নামের এক ব্যক্তি। তারই ধারাবাহিকতায় ১৭ জানুয়ারী সকাল ৯ টার দিকে মমতাজ আহমদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আব্দুল হকের ঘেরা- বেড়া ভাংচুর,তছনছ ও বসৎ ভিটা দখলে নিতে বাড়ী ঘেষে দেয়াল দেয়ার জন্য গর্ত করলে ও ভয়ে কোন রখম বাধা দিতে পারিনি বলে এ প্রতিবেদককে কান্না জড়িত কন্ঠে জানান বয়োবৃদ্ধ আব্দুল হক।তার দাবী বিগত ৪০ বছর পুর্বে পালাকাটা গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র মনজুররের সাথে আপোষমতে জায়গা জমি বন্টন করে সহবস্থানে ছিল।কিন্তু ১০ বছর পুর্বে আমি ঘর করতে চাইলে বাধা প্রদান করে মনজুররের ভাই মমতাজ আহমদ গং। তাদের ইচ্ছামত আমার পুরো ঘর ভেংগে আমি পুর্বাংশে ঘর করি ওই ভিটায় আমার রোপিত বিভিন্ন গাছ পালা থাকলে ও তা আমি ছেড়ে দিই। আমি ছোট পরিবার নিয়ে শোক শান্তির আশায় তাদের সবকিছু  মেনে নিই।এদিকে আমার প্রয়োজনে ২ বছর পুর্বে পালাকাটার নুরুল হক গং থেকে বাড়িস্থ রাস্তার পাশ্ব থেকে ৮ কড়া জায়গা ক্রয় করে খতিয়ান করি। কিন্তু মমতাজের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ওই স্থাপনের ঘেরা বেড়া ও ভাংচুর করে। সম্প্রতি মমতাজ গং জায়গা দাবী করলে উভয় পক্ষ স্থানীয় এক সমাজ সেবকের শরাপন্ন হই। যথারীতি বৈঠকের প্রস্তুতি নিই এবং আমার পক্ষ থেকে প্রতিনিধি নিয়োগ করলে সে আগামী রোববারে বসার কথা বললে ও কোন রখম তোয়াক্ষা না করে ক্ষমতা দেখিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় বসৎ ভিটার ঘেরা-বেড়া ভাংচুর ও ঘর ঘেষে দেয়াল দেয়ার প্রস্তুতি স্বরুপ লম্বা গর্ত করে। ইতি পুর্বে ও মমতাজ তাকে আব্দুল হকের উপর হামলা চালায় বলে এ প্রতিবেদককে জানান।আব্দুল হকের পুত্র রফিকুল ইসলাম জানান,আমরা অসহায় এবং আইনকে শ্রদ্ধা করি। মমতাজ গং তাদের নিজেদের জায়গায় ঘর করুক তাতে কোন সমস্যা নেই কিন্তু জোর করে কেন তার বসৎ ভিটার ঘেরা বেড়া ভাংচুর করল, তার বিচার প্রশাসনসহ নবাগত জনপ্রতিনিধির কাছে চাইব বলে।কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন কিনা জানতে চাইলে মমতাজসহ জড়িতদের বিরোদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবী দু' পক্ষের আলাপ- আলোচনা ও শালিসকারদের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান না করে কাজকর্ম অব্যহত রাখলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। এদিকে এলাকাবাসী বিষয়টি সুরাহা করতে নবাগত চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।