রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ির মধ্যম উমখালী গ্রামে শ্বাশুড়ি মমতাজ বেগম (৭০)কে নৃশংসভাবে খুন করেছে পুত্রবধূ রাশেদা বেগম।
মেরে গর্তে পুঁতে রাখার তিন দিন পর রবিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে হতভাগিনীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনায় জড়িত পুত্রবধূ রাশেদা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত মমতাজ বেগম ওই এলাকার মৃত গোলাম কবিরের স্ত্রী।
জানা গেছে, মমতাজ বেগমের ছেলে আলমগীরের স্ত্রী রাশেদা বেগমের সাথে শ্বাশুড়ির বনিবনা হচ্ছিল না। তুচ্ছ বিষয়েও তাদের বিরোধ বেঁধে যায়। বধূ-শ্বাশুড়ির মধ্যে এভাবে স্নায়ুবিক দূরত্ব চলতে থাকে। সেই কলহের জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মমতাজ বেগমকে গলা কেটে হত্যা করে। পরে লাশ ৬ টুকরা করে বাড়ির আঙ্গিনায় বস্তাভর্তি করে গর্তে পুঁতে রাখে পুত্রবধূ রাশেদা বেগম।
খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে মমতাজ বেগমের বস্তাভর্তি টকরো লাশ উদ্ধার করে রামু থানা পুলিশ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য দুদু মিয়া জানান,নিহত শ্বাশুড়ি মমতাজ বেগম পুত্রবধূ রাশেদা বেগমের ফুফু। এমন হত্যার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।
রামু থানার ওসি আনোয়ারুল হোসাইন জানান, খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক পুত্রধূকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হচ্ছে।
এমন নৃশংস ঘটনা কেন ঘটলো, তার সঠিক তথ্য নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি আনোয়ারুল হোসাইন।