স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দেশের জনগণ আর অন্ধকারে ফিরে যেতে চায় না। কে এলো, কে গেল, সেটা মুখ্য বিষয় না।
এ দেশে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, এদেশের মানুষ আলোকিত বাংলাদেশ দেখতে চায়। এদেশের জনগণ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ প্রত্যাখ্যান করেছে। যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের জন্য দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছে, বাংলাদেশকে অচল করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে, জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
রোববার (৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নোয়াখালীর চাটখিল থানার ব্যারাক ও কনফারেন্স কক্ষ উদ্ভোধন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আমরা মনে করি, জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। জনগণ যাদের সঙ্গে নেই, তারা যতই আস্ফালন দেখাক, তাতে কিছুই হবে না। কারণ জনগণের শক্তিই আসল শক্তি। দেশে একটি সংবিধান রয়েছে। দেশের সংবিধান অনুযায়ী যা হবে, তাই আমরা করব। দেশে একটা নির্বাচন কমিশন আছে, সে নির্বাচন কমিশন ভোটের সিডিউল ঘোষণা করবে। তখন সশস্ত্র বাহিনীগুলো নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যাবে। নির্বাচন কমিশন তাদের যেভাবে পরিচালনা করবে, তারা সেভাবেই পরিচালিত হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এটাই আমরা আশা করি। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আপনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেন, আপনারা কি ইয়াজ উদ্দিনের কথা ভুলে গেছেন- প্রশ্ন করে তিনি বলেন, আপনারা কি দেড় কোটি ভুয়া ভোটারের কথা ভুলে গেছেন? এ ভুয়া ভোটারদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা যে আন্দোলন করেছিলেন, স্বচ্ছ ব্যালট পেপারের মাধ্যমে দেশে যে ভোট হচ্ছে, তা ওই আন্দোলনেরই ফসল। এ প্রশাসনের অধীনেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়ে আসছে। আমরা মনে করি, এ নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে।
এসময় পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুর এ আলম মিনা, স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম, জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিমুল হাসান রাজীব ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম উপস্থিত ছিলেন।