চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কারাগারগুলো বিএনপির নেতাকর্মীদের দ্বারা পরিপূর্ণ। নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তারের আগে বাইরে যেমন হয়রানি, নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হন, কারাগারেও তারা তেমনি নির্যাতিত হন।
বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য কারাগারও নিরাপদ নয়। দেশের কারাগারগুলোতে বিএনপি নেতাকর্মীরা মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে মোহরা চর রাঙ্গামাটিয়া এলাকায় ঢাকার কাশিমপুর কারাগারে বন্দী অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সহ সভাপতি গোলাপুর রহমানের বাসভবনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ঘরে বাইরে কোথাও মানুষের নিরাপত্তা নেই। সরকার বিরোধীদের জীবন রাষ্ট্রীয় বন্দুকের নলের নিচে বন্দি। কারাগারে বিএনপি নেতাকর্মীদের দিনরাত লকআপে রেখে অতি নিম্নমানের খাবার দিয়ে অসুস্থ বানিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। মৃত্যুর পর সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায় এড়ানোর জন্য গল্প সাজিয়ে মিথ্যাচার করে। প্রতিটি মৃত্যু ও হত্যার জন্য তাদের একদিন বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
এদিকে মরহুম গোলাপুর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বাদে আসর স্থানীয় বায়তুল ইজ্জত জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এসময় নেতৃবৃন্দ মরহুমের কবর জিয়ারত করে কবরে ফুলের শ্রদ্ধা জানান। এরপরে ঢাকায় গ্রেফতারকৃত চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আজম সহ সাত বিএনপি নেতাকর্মীদের কারামুক্তিতে ফুলেল সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আনোয়ার হোসেন লিপু, চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আজম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জানে আলম জিকু, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান, বিএনপি নেতা ইকবাল চৌধুরী, মহসিন কবির আপেল, কারামুক্ত বিএনপি নেতা মো, ইয়াসিন, মনসুর আলম, মো. জাবেদ, মো. হানিফ, মো. ইলিয়াস ও মো. জাবেদ প্রমুখ।