আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কক্সবাজার হাইটেক পার্ক চালু হলে ৩ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শনিবার ১৬ জুলাই ২০২২ ০১:১৯:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার মিঠাছড়িতে ‘কক্সবাজার হাইটেক পার্কের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। শনিবার (১৬ জুলাই) সকালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কাজের উদ্বোধন করেন।

জানা গেছে, ভারত সরকারের অর্থায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীন জেলা পর্যায়ে আইটি/হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারে ৮ একর জমির ওপর ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে পার্কটি নির্মিত হচ্ছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে পার্কের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। পার্কটি চালু হলে প্রতি বছর এক হাজার তরুণ প্রশিক্ষণ নিতে পারবে। তাছাড়া প্রত্যক্ষভাবে তিন হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কক্সবাজার  হাইটেক পার্ক চালু হলে এলাকার তরুণদের চাকরির জন্য ঢাকা কিংবা বিদেশগামী হতে হবে না। কক্সবাজারকে আধুনিক ও স্মার্ট পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর। 

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর এখন আমরা বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে চাই।আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণ করতে চাই, যেটা হবে সোনার বাংলার প্রতিরূপ। হাই-টেক পার্ক চালু হলে তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। 

তিনি আরও বলেন, তের বছর আগে ডিজিটাল অর্থনীতির আকার ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। আর বর্তমানে তা ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। ২০২৫ সালে আইসিটি রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলার এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে আইসিটি খাতে কর্মসংস্থান ৩০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। এর ফলে বাংলাদেশ শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে জ্ঞাননির্ভর ও উন্নত অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ, রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয়ন চাকমা, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, প্রকল্প পরিচালক একেএএম ফজলুল হকসহ স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা।