কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় বর্ষার সুযোগে নির্বিচারে চলছে পাহাড় কর্তন। ইতোমধ্যে পাহাড় কাটার কারণে বেশ কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এতে করে হতাহতের ঘটনার আশঙ্কা বেড়েই চলছে।
পাহাড় কাটায় বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নেন না পরিবেশ সংশ্লিষ্টরা। দুর্বলতার সুযোগটি কাজে লাগায় পাহাড় খেকোরা, অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের পাহাড়তলী এলাকায় নির্বিচারে পাহাড় কাটা হচ্ছে। পাহাড় কাটার মাটি ঢুকে পড়ছে পাশের বাসাবাড়ি ও রাস্তাঘাটে।
তবে বৃষ্টি হলেই বাড়ে পাহাড় কাটার মহোৎসব। দিনে নয়, রাতের বেলায় পাহাড় কাটতে বেশি নিরাপদ মনে করেন পাহাড় খেকোরা।
স্থানীয় শামসুল আলম নামক ব্যক্তি এখানে পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মোহাম্মদ ফয়সাল নামক এক ব্যক্তি।
পরিবেশ রক্ষার নিমিত্তে পাহাড় কর্তনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদনে শামসুল আলম ও তার ছেলে মোঃ আরমানসহ আরো ৫/৬ জন জড়িত বলে উল্লেখ করেছেন।
অভিযোগকারী মোহাম্মদ ফয়সাল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, ডেন্টিস্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং পুরাতন শেভরনস্থ ডাঃ সিকদার ডেন্টাল ক্লিনিকের মেডিক্যাল অফিসার।
তিনি বলেন, পাহাড়তলী এলাকায় উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত খতিয়ানভুক্ত জমিতে তিনি বসতঘর করেছেন। তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের মাটি কাটছে অভিযুক্তরা। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা নিষেধ করলেও মানছেন না। রাতের অন্ধকারে কৌশলে পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছেন। যে কারণে তার বসতবাড়িসহ আশপাশের লোকজন ঝুঁকিতে রয়েছে। আশঙ্কা আছে প্রাণহানির। পাহাড় কর্তনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে জানতে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপ-পরিচালক নুরুল আমিনকে ফোন দিলে তিনি বদলি হয়েছেন বলে জানান। তার পদে যোগদান করেছেন জমির উদ্দিন। নতুন এই কর্তার মুঠোফোন নাম্বর পাওয়া যায়নি। আরেকজন কর্মকর্তাকে ফোন দিলে তিনি অফিসের কাজে চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন বলে জানান।