আজ রবিবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ই পৌষ ১৪৩১

ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতি ও জমি দখলের অভিযোগ আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক, আনোয়ারা: | প্রকাশের সময় : রবিবার ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:১৯:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম

হরশংকর ৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে ভারতে চলে যান। পরবর্তীতে তিনি তার বংশধরসহ সেখানে বসবাস শুরু করেন। হরশংকর দেশ ত্যাগের সময় বাংলাদেশে কোনো ওয়ারিশ রেখে যাননি। সম্প্রতি আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা জসিম উদ্দিন কৌশলে বারশত ইউনিয়নের বাসিন্দা চিনু গুপ্ত, নয়ন গুপ্ত, চন্দন গুপ্ত ও স্মুতিকা গুপ্তকে রাধা রানী ও মদন গুপ্তকে হরশংকরের ওয়ারিশ দেখিয়ে বটতলী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জাল ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে। পরে ওই সনদে ভূমি অফিস থেকে নামজারী খতিয়ান সৃজন করে নিয়ে স্থানীয় বারশত ইউনিয়নের মৃত জমির হোসেনের ছেলে মো. মুসা (৫৪) নামের এক ব্যক্তির পৈত্রিক ক্রয়কৃত জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

 

বটতলী ইউনিয়ন পরিষদ তড়িঘড়ি করে ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর প্রদত্ত ওয়ারিশ সনদ বাতিল করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও আওয়ামীলীগ নেতা জসিম উদ্দিন ওই জমি দখলের চেষ্ঠা অব্যাহত রেখেছে। উপায়ন্তর না দেখে ভুক্তভোগী মো. মুসা জসিম উদ্দিনসহ আরো ৮ জনের নাম উল্লেখ করে গতকাল শনিবার বিকালে আনোয়ারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন বারশত ইউনিয়নের দক্ষিণ বারশত মৃত আহমদ শরীফের ছেলে। অন্যান্যরা হল, স্থানীয় বাসিন্দা আকতার হোসেন (২৫), নুরুল ইসলাম (৩৫), আবুল কালাম (৫৫), মো. ইদ্রীছ, মো. আলী (৫১), আলী আহমদ (৩০) ও আবুল কালাম (২৫)। বিষয়টি নিয়ে খতিয়ানের অন্যান্য মালিক টিটু চৌধুরী উক্ত জাল খতিয়ান বাতিলের জন্য ভূমি অফিসেও মিস মামলা দায়ের করেন।

 

 

ভুক্তভোগী মো. মুসা বলেন, "বটতলী মৌজার তুলঅতলী সাকিনস্থ জমি জাল জালিয়াতি ওয়ারিশ সনদ ও খতিয়ান করে জসিম উদ্দিন আমার পৈত্রিক ক্রয়কৃত জমি দখলের চেষ্টা করছে। বিষয়টি নিয়ে আদালতেও আমরা মামলা দায়ের করেছি। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ ওই ওয়ারিশ সনদ বাতিলও করে দিয়েছে। তারপরও জসিম আমাদের হুমকি দিচ্ছে।"

 

 

অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন বলেন, "ওয়ারিশ সনদ দিয়েছে মেম্বার আবার বাতিলও করেছে মেম্বার সেখানে আমার কিছু করার নেই। হয়তো টাকার বিনিময়ে এসব করছে।"

 

 

ওয়ারিশ সনদের বিষয়ে জানতে চাইলে বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মাহাবু আলী বলেন, "ইউপি সদস্যরা যাছাই বাছাই করে আমার কাছে আনলে আমি স্বাক্ষর করি। উল্লেখিত ওয়ারিশ সনদটি নিয়ে অভিযোগ আসলে তারা কোন প্রকার সঠিক কাগজপত্র দেখাতে না পারায় আমি বাতিল করে দিয়েছি।"

 

 

আনোয়ারা থানার ওসি মো. মনির হোসেন জানান, "জমি সংক্রান্ত বিষয় হওয়ায় আমরা ভূমি অফিসের সাথে যোগাযোগ ও অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।"