ঈদগাঁওর স’মিলগুলোর লাইলেন্স প্রদান করা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী ঈদগাঁও বাজারে গড়ে উঠেছে দক্ষিণ চট্টলার অন্যতম বৃহৎ ফার্ণিচার শিল্পাঞ্চল।
এখানকার স’মিল, কাঠ ব্যবসায়ী এবং ফার্ণিচার শিল্পের সাথে প্রায় ২০ হাজার মানুষ জড়িত। ব্যবসায়ীরা স্থানীয় উৎস থেকে বৈধভাবে গ্রাম এবং নিলামের কাঠ সংগ্রহ করে এ শিল্পের কাঁচামাল যোগান দিয়ে আসছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে বিপুল সংখ্যক ক্রেতা ঈদগাঁও বাজারে ফার্ণিচার কিনতে আসেন। লেনদেন হয় প্রায় কয়েক কোটি টাকা। প্রতিবছর সরকারী কোষাগারে জমা হচ্ছে বিপুল পরিমান রাজস্ব। সম্ভাবনাময় এ শিল্পকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সময়ের প্রয়োজনে এবং এ শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষনে ঈদগাঁও বাজারের করাতগুলোকে লাইসেন্স প্রদান করা এখন অতীব জরুরী একটি কাজ।
করাত কলগুলোকে লাইসেন্স প্রদান করা হলে তারা সরকারের নজরদারিরে আওতায় আসবে এবং এ শিল্পের কাঁচামালের যোগানও ঠিক থাকবে। যদি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় তবে শিল্পটি মুখ থুবড়ে পড়বে এবং বেকার হয়ে পড়বে এলাকার প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক। শনিবার (৮ জানুয়ারী) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা’য় ঈদগাঁও বাজারের বাঁশঘাটার এম. জাহান প্লাজায় স’মিল মালিক, কাঠ ব্যবসায়ী এবং ফার্ণিচার মালিক ও শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময়কালে রামু কক্সবাজার থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এসব কথা বলেন।
বক্তব্যে তিনি স’মিল মালিক, কাঠ ব্যবসায়ী এবং ফার্ণিচার ব্যবসায়ীদের অযথা হয়রানি না করার জন্যও সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের প্রতি তিনি আহবান জানান। ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক হুমায়ুন কবির চৌধুরী হিমুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ মত বিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সদর উপজেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক রাজীবুল হক চৌধুরী রিকো, ব্যবসায়ী জাফর আলম এবং স’মিল মালিক হুমায়ুন কবির কোম্পানী। উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি সেলিম মোর্শেদ ফরাজী, ইসলামাবাদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এবং আ’লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক এমইউপি, সদর উপজেলা যুবলীগ সহসভাপতি মিজানুল হক, ব্যবসায়ী নায়েমুল হুদা, রাশেদুল হক চৌধুরী রিয়াদ, নুরুল আলমসহ পেশা সংশ্লিষ্ঠ প্রায় সহস্রাধিক লোকজন।