রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনার ভয়াবহ ছোবলে বিশ্ব স্থবির হয়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকটের কালমেঘ ছেয়ে গিয়েছিল, সেই মেঘ ক্রমশ কাটতে শুরু করেছে। পরপর কিছু আশাব্যঞ্জক খবরের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আশান্বিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। পরিস্থিতির কারণে সরকারের মধ্যেও স্বস্তি দেখা দিয়েছে। একাধিক কারণে সরকার মনে করছে, বড় ধরনের অর্থনৈতিক চাপের মুখে আপাতত নেই।
রেমিট্যান্স আয় ও রপ্তারি বৃদ্ধির কারণে ডলার সংকট অনেকটা কেটে গেছে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। সংকট কেটে যাওয়া খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৫ থেকে কমে ১১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর এতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব কেটে গেছে।
এদিকে, চলতি ব্ছরের মার্চ মাসে প্রবাসীরা ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে যার পরিমাণ ২১ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। এ ছাড়া রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৬ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, শেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৫২ লাখ ৭ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮১ লাখ ১০ হাজার ডলার।
এ পরিস্থিতিতে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রতিনিধি এসেছিল। তারা বলেছে, আমরা অপেক্ষা করছি প্রপোজালের জন্য। বাংলাদেশ আগে প্রপোজাল দিক, তারা টাকা দেবে। কাজেই এরকম একটা নিশ্চয়তা পাওয়ার পর আর বড় ধরনের সন্দেহ নেই। কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই।
অর্থমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দেশ চলছে। দেশের মানুষের যেসব আইটেম দরকার সেগুলো সবই আসছে। যারা ভেবেছিল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে, তাদের ধারণাও ভুল প্রমাণ হয়েছে।