ফটিকছড়ির ভূজপুর থেকে কিশোরীকে অপহরণের ছয় দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে মূল অপরণকারী মোহাম্মদ টিটুকে দুই সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
রোববার (৬ আগস্ট) ভূজপুরের দাঁতমারা এলাকা থেকে কিশোরীকে উদ্ধারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত তিনজন হলেন, মূল অপহরণের অভিযুক্ত উপজেলার হাইদচকিয়া এলাকার মোহাম্মদ টিটু (৩০), একই এলাকার আমজাদ হোসেন রুমেন (২৩) ও বারমাসিয়া এলাকার রুবি বেগম (৩৮)।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যার-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো.নূরুল আবছার। তিনি বলেন, অপহৃত ভিকটিম ১৬ বছর বয়সের সনাতন ধর্মাবলম্বী কিশোরী এবং স্থানীয় একটি স্কুল থেকে ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৩.৬৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। ভিকটিমের সঙ্গে মূল অভিযুক্ত মোহাম্মদ টিটুর মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় এবং এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি জানতে পেরে ভিকটিমের পরিবার মোহাম্মদ টিটুর পরিবারকে অবগত করেন। এতে মোহাম্মদ টিটু ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমের বাবা-মাকে হুমকি দেয় যে, সে যেকোন সময় তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যাবে।
এরপর গত ৩১ জুলাই আড়াইটার দিকে ভিকটিম কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হলে পরিকল্পিতভাবে আসামি মোহাম্মদ টিটু এবং তার এক সহযোগী ভিকটিমকে অপহরণ করে একটি মাইক্রোবাস নিয়ে যায়। এদিকে ভিকটিম সময় মতো ঘরে না ফেরায় বাবা-মা আত্বীয় স্বজনদের বাসাসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। না পেয়ে অপহরণের ঘটনাস্থালে এসে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে জানতে পারে, তার মেয়েকে মোহাম্মদ টিটু নামক এক যুবক তার সহযোগীদের সহায়তায় একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গেছে।’
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ভিকটিমের মা চন্দনা রানী দে বাদী হয়ে গত ৩ আগস্ট ভূজপুর থানায় মোহাম্মদ টিটুকে প্রধান করে অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামি করে একটি অপরহণ মামলা দায়ের করেন। একই সঙ্গে তিনি মেয়েকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীদের আটকের জন্য র্যাবের কাছে একটি অভিযোগ করেন। পরে গোয়েন্দা নজরধারী ও ছায়াতদন্ত র্যাব ভূজপুর থানাধীন দাঁতমারা এলাকায় থেকে আসামি টিটু, মাইক্রোবাস চালক রুমেন ও ঘরে থাকতে দেয়া রুবি বেগমকে গ্রেফতারসহ কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে ভূজপুর থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানান তিনি।