১৫১ দশমিক ৬০ মিটার লম্বা, ২১ মিটার প্রস্থের গাড়িবাহী রো রো ভ্যাসেল `এমভি মালয়েশিয়া স্টার' চট্টগ্রাম বন্দরে ৫৬৯টি গাড়ি খালাস করেছে। তাই প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে বন্দরের কার শেডে। ডলার সংকটে বেশ কিছু দিন গাড়ি আমদানি বন্ধ ছিল। তাই গাড়ির জাহাজ আসায় মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যানড্ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) মহাসচিব মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, করোনা, ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলার সংকট, বিশ্বব্যাপী গাড়ির মূল্যবৃদ্ধি, টাকার অবমূল্যায়ন ইত্যাদি নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে বেশ কিছু দিন নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে পার করতে হয়েছে গাড়ি ব্যবসায়ীদের। প্রায় ২ হাজার গাড়ি ব্যবসায়ী আছেন দেশে। আগে যেখানে মাসে ২ হাজার গাড়ি আমদানি হতো এখন তা ৩-৪ মাসে আসছে। দেশের যে ইকোনমিক গ্রোথ, গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতা, রেমিট্যান্স প্রবাহ তাতে গাড়ির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। গাড়ি আমদানি শুরু হওয়াটা নিঃসন্দেহে দেশের জন্য ইতিবাচক।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২ মে) চট্টগ্রাম বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে ৫৬৯টি গাড়ি খালাস হয়েছে। এরপর মোংলা বন্দরে চলে যায় জাহাজটি। সেখানে খালাস হবে ৭০৬টি গাড়ি। ১২-১৫ জন আমদানিকারক এসব গাড়ি এনেছেন। রো রো ভ্যাসেল সংকটের কারণে জাপানি এসব গাড়ি প্রথমে সিঙ্গাপুর আনা হয়। এরপর সেখান থেকে জাহাজে লোড করে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। নতুন, রিকন্ডিশন্ড রেসিং কার, প্রাইভেট কার, পাজেরো জিপ, মাইক্রোবাস ছিল এ চালানে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজেট সামনে রেখে এসব গাড়ি আমদানি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ডলার সংকটের প্রেক্ষাপটে বাজেটে গাড়ি আমদানির শুল্কহার বাড়তে পারে। প্রায় আট মাস বন্ধ ছিল গাড়ি আমদানি। গাড়ি আমদানি বন্ধ ছিল ডলার সংকটের কারণে। অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে যে এলসি হয়েছে সেই গাড়িগুলো এসেছে। গাড়ি আমদানি বাড়ছে চাহিদার কারণে। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে গাড়ির দাম বেড়েছিল। এখন গাড়ি আমদানি হওয়ায় বাজারে গাড়ির দাম কমবে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার ব্যারিস্টার মো. বদরুজ্জামান মুন্সি বাংলানিউজকে বলেন, গত ৩০ এপ্রিল গাড়ি নিয়ে রো রো জাহাজটি ভিড়েছিল চট্টগ্রাম বন্দরে। এখানে ৫৬৯টি গাড়ি নামিয়ে ৭০৬টি গাড়ি মোংলা বন্দরে নিয়ে গেছে। এ গাড়ির চালানে সরকারের রাজস্ব আয় হবে প্রায় ২০০ কোটি টাকা।