৪১ ঘণ্টায়ও নেভেনি চট্টগ্রামে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে লাগা আগুন। বুধবার (৬ মার্চ) সকাল ৯টা পর্যন্ত আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। এখনও ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে যাচ্ছে। সোমবার (৪ মার্চ) দিবাগত রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি। আগুন নিভতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক এম ডি আবদুল মালেক বলেন, ‘চিনি কারখানার গুদামে লাগা আগুন এখনও জ্বলছে। গুদামটি প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুটের। উচ্চতা প্রায় ৫-৬ তলা ভবনের সমপরিমাণ। এখানে অপরিশোধিত চিনির বিপুল মজুত ছিল। এ চিনিগুলো জ্বলছে। এ কারণে আগুন নেভাতে সময় লাগছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। এখান থেকে আগুন আর ছড়াবে না। আগুন পুরোপুরি নেভানোর চেষ্টা করছি আমরা।’
ঢাকা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক (প্রশাসন অর্থ) জসিম উদ্দিন বলেন, ‘যে গুদামটিতে আগুন লেগেছে সেটিতে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত চিনি মজুত ছিল। এগুলো এক ধরনের ধার্য পদার্থ। পানি দিয়েও এ আগুন নেভানো যাচ্ছে না। এ কারণে আগুন নেভাতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। তবে আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে আমরা তা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। কবে নাগাদ আগুন নেভানো যাবে তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।’
এস আলম গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. হোসেন বলেন, ‘একই স্থানে আমাদের মোট ছয়টি গুদাম আছে। সোমবার ১ নম্বর গুদামে আগুন লাগে। এ গুদামে এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত চিনি ছিল। যার সবটুকুই পুড়ে গেছে। যার বাজারমূল্য হাজার কোটি টাকার বেশি। গুদামটিতে এখনও আগুন জ্বলছে।’
এর আগে, সোমবার বিকাল ৩টা ৫৩ মিনিটে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকার এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে আগুন লাগে। পবিত্র রমজান মাস ঘিরে এসব চিনির আমদানি করা হয়েছিল।
আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নির্বাপণে যোগ দেন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে নিয়োজিত হন র্যাব ও পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের বিপুলসংখ্যক সদস্যরাই আগুন নির্বাপণে কাজ করছে।