আজ বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
মিরসরাইয়ে ড্রেজার ডুবি

৪৫ ঘন্টার পরও উদ্ধার হয়নি আরো চার শ্রমিক

মোহাম্মদ ইউসুফ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৬ অক্টোবর ২০২২ ০৫:১০:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

মিরসরাইয়ের সাগরে ড্রেজার ডুবে নিখোঁজ চার শ্রমিক ৪৫ ঘন্টার পরও উদ্ধার হয়নি। সোমবার রাতে দুর্ঘটনার পর মঙ্গলবার রাত ৯টা১ জন ও বুধবার সকাল ১০ টায় আরো তিন শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ শ্রমিকদের লাশের জন্য সাগরপাড়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন স্বজনরা। জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। সকাল ১০টার দিকে তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডুবুরি দল ও উদ্ধারকারী ট্রলার ভলগেট অনেক চেষ্টা করেও আর কোন লাশ উদ্ধার করতে পারেনি। ড্রেজারটি পানিতে উপুড় ডুবে যাওয়াতে ভেতরের দু'টি কম্পার্টমেন্টে ডুকা যাচ্ছে না। ওই কম্পার্টমেন্টে বালি ভরাট হয়ে গেছে। ড্রেজারটি উদ্ধার করার জন্য ক্যারেন প্রয়োজন। বুধবার বিকেল পর্যন্ত কোন ক্যারেন না আসাতে উদ্ধারের কোন অগ্রগতি পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ শাহিন মোল্লার স্বজন জামাল উদ্দিন বলেন, শুরু থেকে উদ্ধারকাজে অবহেলা লক্ষ্য করা গেছে। শুরু থেকে যদি প্রশাসন আন্তরিক হতো তাহলে এতোক্ষনে লাশগুলো উদ্ধার করা সম্ভব ছিলো। আরো কত ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে আল্লাহ ভালো জানেন। মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুর রহমান বলেন, নিখোঁজ ৮ শ্রমিকের মধ্যে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি চারজনকে উদ্ধারে একটা ভলগেট ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। তিনি আরো বলেন, এখন উদ্ধার কাজ স্থগিত রয়েছে। চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ থেকে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন থেকে একটি এক্সপার্ট টিম আসতেছে। এছাড়া ড্রেজারটি উল্টানোর জন্য বেসরকারি একটি ক্যারেন কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ চলছে। ওই কোম্পানীর লোক আসলে তারা দুর্ঘটনার স্থল ও ধরণ দেখার পর তাদের পরামর্শ অনুযায়ী উদ্ধার তৎপরতা শুরু হবে। প্রসঙ্গত : সোমবার রাত ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে পড়ে এই আট শ্রমিক নিখোঁজ হন। তারমধ্যে উদ্ধার হয়েছে আনিচ মোল্লার এক ছেলে, ইমাম মোল্লা, আব্দুল হক মোল্লার ছেলে মাহমুদ মোল্লা, সেকান্দার বারির ছেলে মো. জাহিদ বারি ও রহমান ফকিরের ছেলে মো. আল-আমিন ফকির। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আনিচ মোল্লার বড় ছেলে শাহিন মোল্লা, ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে বশর হাওয়ালাদার নুরু সরদাররর ছেলে আলম সরদার ও রহমান খানের ছেলে তারেক মোল্লা। উপজেলার ১৬ নং সাহেরখালি ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ৩ নং বসুন্ধরা এলাকায় বেড়িবাঁধ থেকে ১ হাজার ফুট গভীরে সাগরের মাঝে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সৈকত এন্টারপ্রাইজের বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন রাখা ছিল। রাতের ঝড়ে কবলে সেখান থেকে আট শ্রমিক নিখোঁজ হন।