ছবি দেখে মনে হতে পারে রোহিঙ্গার চর থেকে রোহিঙ্গা পালাচ্ছে কোথাও। এমনটা মনে হলেও, বাস্তবতা হচ্ছে এটা চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের নৌ যাতায়ত ব্যাবস্থার চিত্র।
বৃহস্পতিবার মুছাপুর ১ নং ওয়ার্ডের আবদুল করিম আলো তার ভূমিষ্ট হওয়া ভাগিনাকে নিয়ে সন্দ্বীপ মেডিক্যাল সেন্টারে জন্ম নেওয়া বাচ্চাটিকে জরুরি মূহর্তে এনআইসিউ তে ভর্তি করাতে বলেন চিকিৎসক। তখন তাক্ষৎনিক তার পরিবার শিশুকে নিয়ে চলে আসে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে গুপ্তছড়া ঘাটে। গুপ্তছড়া ঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল এবং সাগর ও ছিল প্রচন্ড উত্তাল । বেলা ১১ টার দিকে ঘাট কর্তৃপক্ষ জানালেন কিছুক্ষণ আগে একটি সার্ভিসবোট ছেড়ে গেছে আরেকটি বোট ছাড়তে দেরি হবে।
এমন অবস্থায় চিন্তায় পড়ে শিশুটির স্বজরা । তারা কোন উপায় না পেয়ে ছুটে যায় গাছুয়া ঘাটের দিকে গুলিয়াখালী ঘাট দিয়ে চট্টগ্রামের তীরে এসে পৌঁচলে ও সে খানে এসে তাদের বাচ্চাটিকে নিয়ে দীর্ঘ অনেক কাঁদা পথ পাড়ি দিতে হয়। শিশুটিকে বাচাতে শেষ চেষ্টা করে যাচ্ছেন পরিবার।
রোগির স্বজনরা বলছেন জরুরি মূহর্তে রোগী পারাপারের সী-এম্বুল্যান্স না থাকায় এমন দুর্ভোগের শিকার আমরা। তাদের প্রশ্ন আর কত ভোগান্তি পোহালে নিরাপদ হবে আমাদের নৌ যাতায়ত।
এদিকে ঈদের পর সন্দ্বীপ চট্টগ্রাম নৌ রুটে শুক্রবার কুমরা গুপ্তছড়া ঘাটে যাত্রীদের প্রচুর ভিড় লক্ষ করা গেছে, আবহাওয়া অনুকূলে নজ থাকায় স্পিড বোট বন্ধ রেখেছে কতৃপক্ষ, এদিকে বিআইডব্লিউটিএর স্টিমার ঈদ উপলক্ষে দুই পাড় থেকে দুই বার করে আসা যাওয়া করলে ও কমিশন এজেন্ট হটাৎ এটি আবার কুমিরা গুপ্তছড়া একটিপ করে জাহাজ চলাচল করবে।