আজ শনিবার ১৮ মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সংগীতশিল্পী সাদী মোহাম্মদ আর নেই

সাঙ্গু ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ ১০:৫৩:০০ অপরাহ্ন | দেশ প্রান্তর

মারা গেছেন সংগীতশিল্পী সাদী মোহাম্মদ (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বুধবার রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেছে। 

এই সংগীত তারকার মৃত্যু সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নীপা। প্রাথমিকভাবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

শামীম আরা নীপা বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাদী মোহাম্মদ মারা গেছেন। তার মরদেহ বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল হাসপাতালে আছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন কিনা এখনও নিশ্চিত না। আমরা তার বাড়িতে এসেছি। 

সাদী মোহাম্মদ রবীন্দ্রসঙ্গীতের ওপরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন। ২০০৭ সালে আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৯ সালে তার শ্রাবণ আকাশে ও ২০১২ সালে তার সার্থক জনম আমার অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। এছাড়াও তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সাদী মোহাম্মদ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরে শহীদ পিতার সন্তান। তার বাবার নাম শহীদ সলিমউল্লাহ। ১৯৭১ সালে মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের সি-১২/১০ বাড়িটি ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম সূতিকাগার। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা সলিম উল্লাহর বাড়িতে নিয়মিত বৈঠকে আসতেন দলের শীর্ষ নেতারা, আসতেন বঙ্গবন্ধুপুত্র শহীদ শেখ কামালও।

একাত্তরের ২৩ মার্চ তাজমহল রোডের সেই বাড়িতে সেজ ছেলে সাদি সাদী মোহাম্মদের আঁকা বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান বাবা সলিমউল্লাহ, সেই পতাকা সেলাই করে দিয়েছিলেন সাদী-শিবলীর মা জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহ। 

সেই পতাকা ওড়ানোর সূত্র ধরে একাত্তরের ২৬ মার্চ অবাঙালি বিহারি ও পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়ে ওঠে সলিমউল্লাহর বাড়ি। পুড়িয়ে দেয়া হয় পুরো বাড়ি, গুলি করে মারা হয় সলিমউল্লাহকে।

 

গত বছরের জুলাই মাসে সাদী মোহাম্মদের মা জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহ মারা যান। এরপর থেকেই নাকি নানা কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন এই সংগীত তারকা।