শাহজাহান ওমর অনুপ্রবেশকারী নয়, কেউ বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসলে গণতান্ত্রিক ভাবে কিছু বলার নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে অনেক বাধা বিপত্তি আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, হরতাল দিয়েও বাংলাদেশের মানুষকে নির্বাচনকে বাধা দেওয়া যায়নি। কিছু কিছু দল নির্বাচন থেকে দূরে থাকলেও জনগণ নির্বাচনমুখী। অনেক অপচেষ্টার পরও বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিকের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপির এক দফা গভীর গর্তে পড়েছে, তাদের আন্দোলন ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে, এতে বিএনপির নেতাকর্মীরাও হতাশ। বিএনপির ডাকে নেতাকর্মীরা ভবিষ্যতে আন্দোলনের মাঠে নামবে কি না এটা সন্দেহ। বিএনপির সর্বনাশা ভুল নীতির জন্য দলে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বের ওপর হতাশ হয়ে অনেকেই নির্বাচন করেছেন। তৃণমূল বিএনপির সবাই বিএনপির লোক।
তিনি আরও বলেন, ২৯টি দল নির্বাচনমুখী, বিএনপিসহ ১৪/১৫ টি দল নির্বাচনের বাইরে। নির্বাচনে জনগণের উৎসব উদ্দীপনা দেখে মনে হচ্ছে বিপুল সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি আসবে।
কাদের বলেন, বিএনপির ষড়যন্ত্রের কালো হাত জনগণই ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে ভেঙে দেবে। বিএনপির কেউ যদি দল পরিবর্তন করলে সেটি তার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে কাউকে ব্ল্যাকমেইলিং করে নির্বাচনে আনা হচ্ছে না।
স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে কাদের বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হেভিওয়েট প্রার্থীকে ফেলে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে গেলে সেটাকে বাঁধা দেওয়া গণতন্ত্র নয়। স্বতন্ত্র হোক আর যে কোনো প্রার্থী নির্বাচন করুক, জনগণের নির্বাচনে ভোট দিয়ে যাচাই হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতকে জড়িয়ে প্রোপাগাণ্ডা পাকিস্তান আমল থেকে শুরু হয়েছে। নির্বাচনের আসলে ভারত আওয়ামী লীগকে জড়িয়ে প্রোপাগাণ্ডা হয় এটা নিয়ে আওয়ামী লীগ চিন্তিত নয়। নির্বাচন কমিশন আইনগত সম্পূর্ণ স্বাধীন। স্বাধীনভাবে সব ব্যবস্থা তারা নিতে পারে। আইআরআই এর সমীক্ষা বলেছে ৭০ শতাংশ লোক শেখ হাসিনার পক্ষ। বিএনপির ভুল রাজনীতির কারণে তারা জনসমর্থন হারিয়েছে। শেখ হাসিনার সব সিদ্ধান্তের প্রতি দলের নেতাকর্মীরা আস্থাশীল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পুলিশ হত্যাসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপে বিএনপির যেসব নেতা জেলে রয়েছে তারা দায় এড়াতে পারবে না। তাদের বিচার হচ্ছে। একইভাবে সামনের দিনগুলোতে নির্বাচন সংক্রান্ত কোথাও কোনো সংঘাত বা বিশৃঙ্খলা হলে, সব কিছুই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।