শাটলের ব্যাপারে আমরা রেলওয়েকে বলতে বলতে শেষ। এমনকি রেলওয়ে মন্ত্রী আমাদের গতবছরই বলেছিলেন ট্রেন দিবেন।
আমরা পাইনি। তারা বলেছে তারা চেষ্টা করছে আরও দুই তিনটা বগি বাড়ানোর।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রামের বটতলী স্টেশন থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা রাত সাড়ে ৮টার শাটল ট্রেন চৌধুরীহাট এলাকায় এলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা বলেন, চৌধুরীহাট এলাকায় রেললাইনের জায়গায় গাছের ডালপালা ঝুলে ছিল। শাটল ট্রেন চৌধুরীহাট পার হওয়ার সময় ছাদে থাকা শিক্ষার্থীরা হেলে পড়া গাছের আঘাতে গুরুতর আহত হন। এসময় কয়েকজন শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে যায়। এছাড়া কয়েকজন চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান।
জানা গেছে, আহতদের মধ্যে ৯ জন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া গুরুতর আহত তিনজনকে নেওয়া হয়েছে আইসিইউতে।
এদিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ বক্সের বেশকিছু চেয়ার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে তারা ভিসির বাংলো, শিক্ষক ক্লাব এবং পরিবহন দফতরে থাকা অন্তত ৪০টি গাড়ি ভাঙচুর করেন।
জানা গেছে, আন্দোলনের একপর্যায়ে চবি ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপগ্রুপ ভিএক্স ও সিক্সটি নাইনের অনুসারীরা নিজেদের মধ্যে বিবাদে জড়ালে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থল থেকে সরে যান। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের অনুসারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে অবস্থান নেন৷ এসময় তারা আন্দোলনে জামায়াত-বিএনপির ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করেন।
এদিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, আমরা আহতদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো। তারা যেন ভালো চিকিৎসা পায় এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে আমরা এটাই চাইব।