প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, রাজনৈতিক বিভেদ-বিভাজনে হস্তক্ষেপ করবো না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে আমরা সাংবিধানিকভাবে বাধ্য।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর চার্লস হোয়াইটলিসহ সাতটি দেশের রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন। এটাকে আমরা বলি ইইউ ডেলিগেশন। তারা আগেও একাধিকবার এসেছেন। তাদের একটা এক্সপার্ট ইলেকশন পর্যবেক্ষণ টিম আসবে বলে জানিয়েছেন। ইতোমধ্যেই চারজন এসেছেন। তারা দীর্ঘ সময় আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছেন।
আমাদের প্রস্তুতি অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এটা তারা জানতেন না। তারা আজও এসেছেন। আমাদের কী কী অগ্রগতি হয়েছে, সেগুলো আমরা তাদের জানিয়েছি। নির্বাচন ফ্রি-ফেয়ার, পিসফুল ও ক্রেডিবল যাতে হয় সেটি নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি- স্পষ্ট করে তাদের জানানো হয়েছে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাদের কমিশনাররা বিগত দুই সপ্তাহ ধরে বাইরে বাইরে ঘুরেছেন। তারা জনগণ ও প্রশাসনকে বিষয়গুলো জানিয়েছেন যাতে প্রশাসন স্থানীয়ভাবে তাদের সব শক্তিকে সমন্বিত করে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করে। তারা (ইইউ ডেলিগেশন) আমাদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট।
সিইসি আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে আমরা সাংবিধানিকভাবে বাধ্য। এটা আমরা খুব স্পষ্ট করে তাদের বুঝিয়েছি। আমার বিশ্বাস, আমাদের যে সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা এটা তারা বুঝতে পেরেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে যদি কোনো মতবিরোধ থাকে, বিভেদ-বিভাজন থাকে সেখানে কোনোভাবেই আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি না।
বৈঠকে সিইসি ছাড়াও অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।