বৃদ্ধি করা দামের ওপর আরও এক দফা বাড়ানো হয়েছে গ্যাস সিলিন্ডারের মূল্য। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাবে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা বেশি একটা ভালো না। এরমধ্যেই দফায় দফায় বড়ানো হচ্ছে গ্যাসের দাম। এমন পরিস্থিতিতে বেকায়দায় পড়ে যাওয়ার কথা বলছেন সাধারণ মানুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির জেরে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে তাদের।
এবার আগের বাড়ানো দামের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে ৬২ টাকা। এলপিজি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দামের বাড়ানো বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিইআরসি থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে এলপিজির (১২ কেজি) দাম ১২৪০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। যা জানুয়ারি মাসে ছিল ১১৭৮ টাকা। যানবাহনে ব্যবহৃত অটোগ্যাস লিটার প্রতি ৫৭.৮১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নতুন এই দর ঘোষণা দিয়েছে। ভার্চ্যুয়াল এই দর ঘোষণা অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, কমিশনের সদস্য মকবুল ই-এলাহী চৌধুরী, মোহাম্মদ আবু ফারুক, মোহাম্মদ বজলুর রহমান। ঘোষিত দর সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে বলে জানান চেয়ারম্যান।
গত বছরের ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো এলপি গ্যাসের দর ঘোষণা করে বিইআরসি। তখন বলা হয়েছিল আমদানি নির্ভর এই জ্বালানির সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তিমূল্য ধরা হবে। সৌদির দর ওঠানামা করলে ভিত্তিমূল্য ওঠানামা করবে। অন্যান্য কমিশন অরপরিবর্তিত থাকবে। জানুয়ারি মাসে সৌদি সিপির দর ছিল প্রোপেন ৭৪০, বিউটেন ৭১০ ডলার। যা চলতি মাসে বেড়ে ৭৭৫ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। ঘোষণার পর থেকে প্রতিমাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। কিন্তু বাস্তবে সেই দরের পুরোপুরি প্রতিফলন হচ্ছে না। কোথাও বেশি দরে আবার ক্ষেত্র বিশেষে কম দরে বিক্রির খবর মিলেছে। ১২ এপ্রিলের আগে পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন।