মিরসরাইয়ে সরকারি সড়ক বন্ধ করে দিয়ে জোরপূর্বক দোকান ঘর ও বাড়ি নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ১৫ নং ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ১নং গাছবাড়িয়া ওয়ার্ডে অবস্থিত স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ করেও সড়ক উদ্ধার করতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভ‚ক্তভোগীর। সড়কটি গাছবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য রাসেল হাসান জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংযোগ থেকে গাছবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কটি ১৮ ফিট প্রশস্থ। মহাসড়কের সংযোগ থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার সড়কটি ব্রিক সলিং থাকলেও আহম্মদ আলী মেস্ত্রী বাড়ি অংশে এসে সড়কটি চুরি হয়ে গেছে। সড়ক দখল করে নির্মাণ করেছে দোকান ঘর ও বসত বাড়ি। এমন ভাবে স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে যে সড়কের কোন নিশানাও নেই। সড়কের অভাবে শতশত মানুষের চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। এছাড়া গাছবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা সড়ক না পেয়ে অন্যের বাড়ির উপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সড়ক বন্ধ করে বিগত কয়েক বছরে আহম্মদ আলি মেস্ত্রী বাড়ির বাসিন্দা মৃত নুরুল আফছারের ছেলে জিয়া উদ্দিন মিন্টু (৩৫) জোরপূর্বক দোকান ঘর ও বসত বাড়ি নির্মাণ করে তার বোন ও ভাগিনাকে ভাড়ায় হস্তান্তর করেছে। সীট ও খতিয়ানের রেকর্ড অনুযায়ী আমীন দিয়ে মেপে রাস্তার জায়গা চিহ্নীত করে দোকান ঘর ও বসতবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। নিজামপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এস.আই) রাকিব জানান, সড়ক দখলের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্ত স্থানে দোকান ঘর ও বসতবাড়ির স্থাপনা দেখতে পেয়েছি। যেহেতু জায়গা জমির অভিযোগের মিমাংসা পুলিশ করতে পারেনা তাই তাদেরকে পরামর্শ দিয়েছি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ অথবা আদালতের মাধ্যমে সমাধান করতে। তবে দখল বেদখলকে কেন্দ্র করে যাতে কোন প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে থানা প্রশাসন থেকে। স্থানীয় বাসিন্দা শামসুল হুদা, শামীম আরা, জসীম উদ্দিন, হুমায়ুন কবির, নাজমুল হাসান, মমিন হোসেন, নুরুল মোস্তফা, মোহাম্মদ আলি, আব্দুল মান্নান সহ উপস্থিত ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, শত বছর আগের ১৮ ফিট প্রশস্থ সড়কটির এক কিলোমিটারের মাথায় আমম্মেদ আলী মেস্ত্রী বাড়ীর মুখে ৪০ ফিট জায়গা অবৈধ দখল করে এমন ভাবে দোকান ঘর ও বসত বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে যে সড়কটি দোকান ও বসত ঘরের পেটের ভেতরে চলে গেছে। এছাড়া টিনের বেড়া দিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত জিয়া উদ্দিন মিন্টু বলেন, সড়ক সীটে থাকলেও এটি কখনো ব্যবহার ছিল না। দোকান ঘর সড়কের অংশে পড়ে নাই। রেকর্ড অনুযায়ী সড়ক ১৮ফিট হলে স্থাপনার কিছু অংশ সড়কে পড়ে। ১৫ নং ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল কবির ফিরোজ জানান, সড়কের বিষয়টি মৌখিকভাবে জানলেও আমাকে লিখিতভাবে এখনো কেউ জানায়নি। ওয়ার্ড মেম্বারকে দায়িত্ব দিয়েছি দলিলপত্র যাচাই করে সড়ক কারো দখল থাকলে সেটি উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে।