আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মিতু হত্যা মামলায় আদালত বদলির আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১১ জানুয়ারী ২০২৩ ০৮:৪৮:০০ অপরাহ্ন | আইন-আদালত

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার বিচার শুরুর জন্য মামলার নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত এ বদলি আদেশ দেন।

জানা গেছে, মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির জন্য সিএমএম বরাবর নথি পাঠান বিচারক। সিএমএম মামলাটি মহানগর আদালতে পাঠাবেন। মহানগর আদালতে পরবর্তী বিচার কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া বুধবার পলাতক আসামিদের আদালতে হাজির হওয়া সংক্রান্ত পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি দাখিলের দিন ধার্য ছিল। সে অনুযায়ী প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ।

এদিকে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে ২ হাজার ৮৪ পৃষ্ঠার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই অভিযোগ পত্রটি ১০ অক্টোবর গ্রহণ করেন আদালত। একইসঙ্গে মামলার পলাতক আসামি মো. কামরুল ইসলাম শিকদার প্রকাশ মুসা ও মো. খাইরুল ইসলাম প্রকাশ কালুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

 

 
চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে বাবুল আক্তার, ওয়াসিম, শাহজাহান ও আনোয়ার কারাগারে আছেন। এ ছাড়া এহতেশামুল জামিনে রয়েছেন। অন্যদিকে মো. কামরুল ইসলাম শিকদার প্রকাশ মুসা ও মো. খাইরুল ইসলাম প্রকাশ কালু পলাতক আছেন।

 

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানান নাটকীয়তার পর ২০১৬ সালের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

ঘটনার পরের বছর মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন প্রথম এই খুনে বাবুলের জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ্যে আনেন। এরপর ২০২০ সালের শুরুতে বাবুলের করা মামলার তদন্তভার পড়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ওপর। এরপর আস্তে আস্তে জট খুলতে থাকে চাঞ্চল্যকর এই মামলার।

২০২১ সালে পিবিআইর তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ার কথা উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের লক্ষ্যে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদনে দাখিলের পর ১২ মে মিতুর বাবা বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।