পর্যটকদের সঙ্গে ভালো আচরণের জন্য প্রতি মাসে তিনজন ফটোগ্রাফারকে পুরস্কৃত করবে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সেই সঙ্গে কোন ফটোগ্রাফারের বিরুদ্ধে পর্যটক হয়রানির অভিযোগ পেলে ছাড় দেওয়া হবে না। নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
পর্যটকদের সাথে আচরণ ও কাস্টমার হ্যান্ডলিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোঃ জিল্লুর রহমান এসব কথা বলেন।
সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে লাবণী পয়েন্ট সংলগ্ন ট্যুরিস্ট পুলিশের কনফারেন্স হলে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি বলেন, পর্যটকরা আমাদের সম্পদ। তোমাদের জীবিকার মাধ্যম। এখানকার বাসিন্দাদের আচরণেই নির্ভর করছে, ট্যুরিস্টরা পরবর্তীতে কক্সবাজারে আসবে কিনা। কক্সবাজারের মর্যাদা রক্ষার্থে ফটোগ্রাফারদের বাঞ্ছিত আচরণ চাই।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে একজন আলোকচিত্রীর আচরণ কেমন হওয়া চাই, সেদিকে ইঙ্গিত করে এসপি বলেন, প্রথমে পর্যটকের সাথে সালাম দিয়ে কথা বলবেন। তারপর দরদাম ঠিক করে ছবি তুলবেন। অনুমতি ছাড়া ছবি তোলা আইনত অপরাধ। নিজের আচরণ সুন্দর হতে হবে।
প্রতি মাসে তিনজন ফটোগ্রাফারকে ভালো আচরণের জন্য পুরস্কৃত করা হবে। না হলে লাল দালান (কারাগার) হবে তোমাদের ঠিকানা।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, প্রথম আলোর কক্সবাজার অফিস প্রধান আবদুল কুদ্দুস রানা, এনটিভির কক্সবাজার প্রতিনিধি ইকরাম চৌধুরী টিপু।
ফটোগ্রাফারদের আচরণের উপর গুরুত্বারোপ করে আলোচনা করেন, পার্বত্যনিউজ কক্সবাজার ব্যুরো চীফ ইমাম খাইর ও এখন টিভির কক্সবাজার প্রতিনিধি মনতোষ বেদজ্ঞ।
উদ্বোধনের পরে প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেন সময় টিভির কক্সবাজার প্রতিনিধি সুজা উদ্দিন রুবেল। এতে প্রায় অর্ধশত ফটোগ্রাফার অংশ গ্রহণ করেন।
এ সময় ট্যুরিস্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর পিন্টু কুমার রায়, গাজি মিজানুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ৬৩০ জন নিবন্ধিত ফটোগ্রাফার রয়েছে, যারা জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে। কার্ডের লাইসেন্সের জন্য দিতে হয় নির্ধারিত টাকা। সেই কার্ড নবায়ন করতেও প্রতি বছর টাকা প্রদান করতে হয়। অথচ ফটোগ্রাফারদের মানোন্নয়নে কোন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নেই জেলা প্রশাসনের।
ফটোগ্রাফারদের অভিযোগ, প্রকৃত ফটোগ্রাফাররা কার্ড পান না। ক্যামেরা ও কার্ড ভাড়ায় কাজ করে অনেকে। জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট অফিসে গিয়ে প্রতিকার পান না। সব ডকুমেন্টস জমা করেও বছরের পর বছর আটকে আছে তাদের আবেদনের ফাইল। কার্ড নিতে প্রতিনিয়ত হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার।
তাদের অভিযোগ, সৈকতে রোহিঙ্গারাও ছবি তুলে। তাদের কারণে বদনাম হচ্ছে কক্সবাজারের।