দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য বিশুদ্ধ অক্সিজেনের পর্যাপ্ত জোগান নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে ' বৃক্ষ বাঁচলে বাঁচবে দেশ, চিরসবুজ হোক বাংলাদেশ' স্লোগানে বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে দক্ষিন এশিয়ার একমাত্র শ্রমজীবীদের জন্য কল্যাণমূলক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শ্রম কল্যাণ সংস্থা (এলডব্লিউও)।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেল ৪ টায় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকায় খালি জায়গায় বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছের চারা ও বীজ রোপন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মো: শাহজাহান, মো: আবু সাঈদ, আশরাফ হোসেন রোকন, মো: টিপু, মোঃ মঈন উদ্দিন মিলন,মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন,জিলান উদ্দিন রিফাত,মো: ওমর, মো: হাসান, মোজাহিদুল ইসলাম, মো: ফিরোজ প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মো: শাহজাহান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে পরিকল্পনা তার সাথে (এলডব্লিউও) সমর্থন প্রকাশ করে কর্মসূচি পালনের পদক্ষেপ নিয়েছে। যাতে আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য বর্তমান সময়কে কাজে লাগিয়ে আগামীর প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশকে একটি বাসযোগ্য আদর্শ রাষ্ট্রে পরিনত করা। এর জন্য ব্যাক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা শুরু হবে। তার জন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন বলেন, একটি দেশের পরিবেশের ভারসাম্যে রক্ষায় ২৫ ভাগ বনায়ন প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে আছে মাত্র ১৭ ভাগ। সুতরাং ২৫ ভাগ বনায়ন নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবী। আর তা সম্ভব করতে সকলের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার বিকল্প নেই। শঙ্কার বিষয় হলো আমাদের রাজধানীর নাম পৃথিবীর শীর্ষ দূষিত শহরের তালিকায় বারবার আসছে। তার পরেই আসে চট্টগ্রামের নাম। এজন্য (এলডব্লিউও) এ বছরের মধ্যেই চট্টগ্রাম শহরেই ৫০ হাজার বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, শহর রক্ষার মূল দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু সরকারের একার পক্ষে একাজ সম্ভব নয়। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই কাজটি করতে হবে।এছাড়াও অকারণে গাছ কাটার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।