করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৩ লাখ ৩২ হাজার ৩২৫ জনে। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ২৬ হাজার ৩৯ জন। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ কোটি ৯ লাখ ২৩ হাজার ৩৩৫ জনে।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৪২৪ জন এবং মারা গেছেন ১১৩ জন। এছাড়া দৈনির প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তাইওয়ান। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০৯ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৫ হাজার ১১০ জন।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ২৩৭ জন।
এছাড়া ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৩৭১ জন এবং মারা গেছেন ৪১ জন। জার্মানিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৬৮ জন এবং মারা গেছেন ৩০ জন। রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৬ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৯৯৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৫১ জন এবং মারা গেছেন ১১ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮০১ জন এবং মারা গেছেন ১৫ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ১১০ জন এবং মারা গেছেন ১৪ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।