আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি

বিশ্বজুড়ে কমেছে শনাক্ত, মৃত্যু ফের হাজারের ওপরে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১৬ অগাস্ট ২০২২ ১০:১৬:০০ পূর্বাহ্ন | আন্তর্জাতিক

চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে সাড়ে চার লাখের নিচে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিলও। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, ফ্রান্স, রাশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৯ কোটি ৫৫ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৪ লাখ ৫৫ হাজার।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজার ৫৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে একশোর বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৪ লাখ ৫৫ হাজার ৯০৩ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৪৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৬১ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ কোটি ৫৫ লাখ ৯৮ হাজার ১০৭ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৭২ জন এবং মারা গেছেন ১৫৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৫৬ লাখ ১৫ হাজার ২৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩৫ হাজার ১৫৬ জন মারা গেছেন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৫৫ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৯৬ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪১ লাখ ৭৮ হাজার ২৪০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮১ হাজার ৭০৫ জনের।

যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৯৯ জন এবং মারা গেছেন ৯৩ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৪৭ লাখ ৮৫ হাজার ১১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৬২ হাজার ৭৫১ জন মারা গেছেন।

ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫৬৪ জন এবং মারা গেছেন ৬৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪২ লাখ ৩৪ হাজার ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৩ হাজার ১২৯ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ হাজার ৭৮ জন এবং মারা গেছেন ৫০ জন।

ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৮৯৩ জন এবং মারা গেছেন ৪২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১৫ লাখ ৯ হাজার ৪২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৪ হাজার ১০২ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ফিলিপাইনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৪ জন এবং মারা গেছেন ৪২ জন।

তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৫ হাজার ৭৯২ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪৯ লাখ ৪ হাজার ৬২২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ৪৫৭ জনের। একইসময়ে ইরানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৩৪৮ জন এবং মারা গেছেন ৭১ জন।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৩ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৫ হাজার ২৭৩ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৯ লাখ ৭ হাজার ২৩১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৭৮ জনের। একইসময়ে নিউজিল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৫৬ জন এবং মারা গেছেন ১২ জন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৫৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২৭ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৬৩ জন এবং মারা গেছেন ৩০ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৫৮৩ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।