কক্সবাজারের টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দুর্নীতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি।
রোববার (২৪ জুলাই) সম্মেলনে কোনো প্রার্থী না থাকায় তাকে সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বদির অনুসারী খ্যাত এম এ বাহাদুর।
তবে এই কমিটিকে অবৈধ দাবি করে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর বলেন, টেকনাফ পৌরসভার সম্মেলনে সভাপতি অনুপস্থিত ছিল না। কাউন্সিলরের তালিকা অনুমোদন নেই এবং অবৈধ ছিল। তালিকায় মাদকের বিচারাধীন মামলার আসামি, দুর্নীতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন মামলার আসামি রয়েছে। সুতরাং অবৈধ দ্বিতীয় অধিবেশন আমি বর্জন করি।
এদিকে দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য হয়েও পৌর ইউনিটের মতো ছোট ইউনিটের সভাপতি হওয়ায় তার মান নিচে নেমে গেছে বলে আলোচনা হচ্ছে। তবে তার ঘরানার লোকজন মনে করছেন, দুইবারের সংসদ এবং সংসদীয় আসন টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগে আবদুর রহমান বদির প্রভাব রয়েছে। কিন্তু দলে তার একটি শক্ত পদ নেই। এতে শেষ মুহূর্তে গিয়ে দলীয় রাজনীতিতে তার প্রভাব থাকে না। তাই ভিত গড়তেই এই পদ নিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে কল ধরেননি সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি।
তবে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত এম বাহাদুর আলম বলেছেন, উত্থাপিত অভিযোগটি সত্য নয়। সম্মেলন ও কাউন্সিলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কাউন্সিলরদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল বশর।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি (উখিয়া-টেকনাফ) টিম প্রধান রাজা শাহ আলম বলেন, ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী না থাকায় এমপি বদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল বশরের বদির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উখিয়া-টেকনাফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইয়াবা তালিকাভুক্ত অনেকেই আছে। যাদের বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়া চলমান ও যারা সাজাপ্রাপ্ত তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।