বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কন্সট্রাকশন লিমিটেডের এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে কয়েকটি উপ-ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সোমবার (১১ এপ্রিল) সকালে শেখ হাসিনা স্বরণীতে মানববন্ধনে এমবি এসাসিয়েটস, মামুন এন্টারপ্রাইজ, ডিপি এন্টার প্রাইজ (জেবি) এর ব্যানারে শতাধিক ব্যক্তি অংশ নেন। এমবি এসাসিয়েটসের ব্যবসায়িক অংশীদার মিহির কান্তি নাথ বলেন, বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে মাটি ভরাট কাজে নিয়োজিত মূল ঠিকাদার ওয়াহিদ কন্সট্রাকশনের সাথে উপ-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর চুক্তি করে এমবি এসাসিয়েটস, মামুন এন্টারপ্রাইজ, ডিপি এন্টার প্রাইজ (জেবি)। পরে ২০২১ সালের ৭ জুলাই ও ২৪ অক্টোবর আরো দুইটি স¤পূরক চুক্তি সম্পাদন করা হয়। চুক্তির আলোকে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে উপ-ঠিকাদার হিসেবে মাটি ভরাট করে আসছিল এম.বি-এম.ই-ডিপি এন্টাপ্রাইজ। কিন্তু কোন প্রকার কারণ ছাড়াই আমাদের গত ৩ মার্চ চুক্তি বাতিলের চিঠি দেয় ওয়াহিদ কন্সট্রাকশন। ৩০ এপ্রিল চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিলো। এতে করে আমাদের বিনিয়োগকৃত প্রায় ১৫ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে বেপজার প্রকল্প পরিচালক ও জোরারগঞ্জ থানা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি। এমবি এসাসিয়েটস, মামুন এন্টারপ্রাইজ, ডিপি এন্টার প্রাইজ (জেবি) আরেক ব্যবসায়িক অংশিদার এবিএম শাব্বির আহম্মদ বলেন, বকেয়া টাকা পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে ওয়াহিদ কন্সট্রাকশনের লোকজন আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ওয়াহিদ কন্সট্রাকশন সময় মতো বিল না দেওয়ায় কাজে কিছুটা বিঘœ হয়েছে। কিন্তু এই অজুহাতে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তারা চুক্তি বাতিল করতে পারে না। গত বছরের ১ মে প্রথম বিল দাখিল করা হলেও তারা অর্থ ছাড়ে পরের বছর ২৫ মার্চ। এভাবে প্রত্যেকবার তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিল দিতে বিলম্ব করে। বকেয়া টাকা পরিশোধের দাবীতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মিরসরাইয়ের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ওয়াহিদ কন্সট্রাকশনের সাইট ম্যানেজার মো. আরিফ জানান, বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে মাটিভরাট কাজে নিয়োজিত উপ-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমবি-এমই-ডিপি এন্টারপ্রাইজ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় তাদের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। তারা চুক্তি অনুযায়ী দৈনিক যে হারে মাটিভরাট করার আদেশ নিয়েছিল তা পূরণ করতে পারেনি। ওয়াহিদ কন্সট্রাকশনের প্রকল্প পরিচালক মো. রেজা বলেন, চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি এমবি এসাসিয়েটস, মামুন এন্টারপ্রাইজ, ডিপি এন্টার প্রাইজ। কয়েকবার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর পরও তাদের কাছে ট্রাক ভাড়া ও তেলের টাকা না থাকায় তারা কাজ করতে পারেনি। এদিকে প্লট ভরাটের কাজ দ্রæত সময়ে করার জন্য বেপজা থেকে তাগাদা থাকায় আমরা সরাসরি চায়না হারবারকে কাজ দিয়ে দিই। চুক্তি অনুযায়ী উপ-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের কাছে কোন টাকা পাবে না; উল্টো আমরা তাদের কাছে টাকা পাবো।