ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার ভুজপুর থানাধীন দাঁতমারা ইউনিয়নের হেয়াকোঁ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০০ জনের মত নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি গাড়ীও ভাংচুর করা হয়েছে বলে জানা যায়। এই ঘটনার জন্য বিএনপি ও আওয়ামীলীগ পরস্পরকে দায়ী করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সুত্র জানায়, বিএনপি নেতা সরোয়ার আলমগীর দুই শতাধিক মোটর সাইকেল বহর নিয়ে হেয়াকোঁ চৌধুরী পাড়ায় বিএনপি নেতা কামাল চৌধুরীর বাড়ীতে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল। তাদের গাড়ী বহর হেয়াকোঁ বাজারে পৌঁছলে সেখানে অবস্থানরত আওয়ামীলীগ যুবলীগ নেতাকর্মীদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় আওয়ামীলীগ কর্মীরা বেশ কয়েকটি গাড়ী ভাংচুর করে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এই সময় হেয়াকোঁ-ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম সড়ক ও ফেনী খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দাঁতমারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য সেলিম সরকার বলেন, বিয়ে অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় হেয়াকোঁ বাজারের মোড়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর শ্লোগান দিতে থাকে। এসময় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা কর্মীরা প্রতিবাদ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়। তিনি বলেন, উভয় পক্ষকে অনুরোধ করে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের উপর পাল্টা হামলা করে। এতে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হানিফ সরকার ও বনানী কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর গুরুতর আহত হয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা তাদেরকে ধাওয়া দেয়। পরে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভুজপুর থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক একরামুল হক বলেন, হেয়াকোঁতে কামাল চৌধুরীর বাড়ীতে দাওয়াতে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা পুর্ব পরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। এতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্তত দেড় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু গাড়ীও ভাংচুর করা হয়েছে।
ভুজপুর থানার ওসি(ভারপ্রাপ্ত) হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, বিএনপি নেতা সরোয়ার আলমগীর কয়েকশত মোটর সাইকেলের বহর নিয়ে হেয়াকোঁতে দাওয়াতে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি বলেন, বিএনপি নেতা সরোয়ার আলমগীর এতগুলো গাড়ী বহর নিয়ে আসার বিষয়টি পুলিশকে আগে থেকে অবহিত করেননি।
ঘটনার পরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হেয়াঁকো বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা পাশবর্তি নারায়নহাট বাজারে অবস্থান নিয়েছিল।