সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কিত মন্তব্য করে দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়া তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার রাতে তাকে পদত্যাগের এ নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছেও বলে জানিয়েছেন তিনি। কাদের জানান, আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে মুরাদ হাসানকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি একটি ভার্চুয়াল টকশোতে নারীবিদ্বেষী মন্তব্যের জেরে অনলাইন-অফলাইনে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ। নারী অধিকারকর্মীদের পাশাপাশি সরকারদলীয় প্রভাবশালী অনেক নেতাও বলছেন, প্রতিমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত। তবে এসব মন্তব্য করেননি বলে দাবি ডা. মুরাদের।
মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য। পেশায় চিকিৎসক এ রাজনীতিবিদ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। পরে ২০১৯ সালের মে মাসে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি।
এদিকে গত ৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের সিটিভি পরিদর্শনের সময় খবারের মান ভাল না হওয়ায় জিএমকে অসভ্য ভাষায় গালগালের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক সাংবাদিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক সাঙ্গুকে জানান চট্টগ্রামে দু‘দিনের সফরে এসে বিটিভির চট্টগ্রাম কেন্দ্র সিটিভি পরিদর্শনে যান প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। দুপুরে খাবারের সময় খাবারের মান ভালো না হওয়ার অভিযোগে সিটিভির জিএম নিতাই কুমার ভট্টচার্যকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। তাছাড়া সিটিভির কর্মকর্তাদের ওই সময়ে মন্ত্রী‘র সাথে দৌড়াতে বাধ্য করেন।