মাদক, জুয়া, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাইসহ সকল প্রকার অপরাধ নির্মুলের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুল জলিল।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ও শেষ ধাপে সাতকানিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপ) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গত ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় থানায় যোগ দিয়েছেন ওসি মুহাম্মদ আবদুল জলিল। থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কান্তি দে সহ সকল কর্মকর্তারা নবাগত ওসিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
ওসি বলেন, আমরা চাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সবসময় ভালো থাকুক। এলাকার মান মর্যাদা সমুন্নত রেখে একটি সুন্দর সাতকানিয়া গড়ার লক্ষ্যে সমাজের সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। যে কোনও জায়গায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানাবেন। পুলিশ দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবে। তথ্য উপাত্ত দিয়ে থানা পুলিশকে সহযোগিতা করবেন, এক্ষেত্রে তথ্য প্রদানকারীর নাম ঠিকানা গোপন রাখা হবে। সকলের সহযোগিতা থাকলে সাতকানিয়ায় সকল প্রকার অপরাধ নির্মুল করা সম্ভব।
জানা যায়, ওসি আবদুল জলিল গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে এসআই হিসেবে যোগদান করেন। যোগদান করার পর কয়েকটি থানায় চাকরি করেন। এরপর চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানায় দীর্ঘদিন এসআই হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে লোহাগাড়া থানার সেকেন্ড অফিসার ছিলেন। এরপর তিনি পদোন্নতি পেয়ে সাতকানিয়া থানায় ওসি (তদন্ত) হিসেবে যোগদান করেন। পরে লোহাগাড়া থানার ওসি (তদন্ত), চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এবং সর্বশেষ বান্দরবান থানায় ওসি (তদন্ত) হিসেবে সততা, দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। বান্দরবান থানা থেকে পদোন্নতি লাভ করে তিনি লক্ষীপুর জেলার রায়পুর থানার ওসি হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। রায়পুর থানায় তিনি যতদিন ছিলেন সেখানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ,সাধারণ মানুষকে পুলিশি সেবা দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন।
ওসি মুহাম্মদ আবদুল জলিল বলেন, আমার প্রথম কাজ হবে সাধারণ মানুষকে পুলিশি সেবা প্রদান করা। মানুষ নির্ভয়ে থানায় এসে পুলিশি সেবা গ্রহণ করতে পারবে। কোনও মাধ্যম কিংবা দালালের প্রয়োজন হবে না। সাতকানিয়া উপজেলার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমন করতে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা চাই।
এদিকে ওসি মুহাম্মদ আবদুল জলিলের যোগদানে খুশি এলাকার মানুষ। স্থানীয়রা বলছেন, জনবান্ধব এই ওসি অতীতে নিজ কর্মক্ষেত্রে সফলতা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ভবিষ্যতেও তিনি সাধারণ নাগরিকদের শান্তি রক্ষায় কাজ করে যাবেন বলে প্রত্যাশা।