দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর পাম তেলের ওপর ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে আজ (২৩ মে)। অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট দেখা দেওয়ায় গত ২৮ এপ্রিল সব ধরনের পাম তেল রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। এরপরই বাংলাদেশসহ দেশে দেশে পাম তেলের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়। কারণ বৈশ্বিক চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশ একাই সরবরাহ করে ইন্দোনেশিয়া। অন্যদিকে বাংলাদেশ চাহিদার ৮০ শতাংশ ভোজ্যতেল দেশটি থেকে আমদানি করে।
এর আগে পাম তেল রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। সোমবার (২৩ মে) থেকে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা জানান তিনি।
ইন্দোনেশিয়ার সরকারের এমন ঘোষণার পরই আন্তর্জাতিক ভোজ্যতেলের বাজারে স্বস্তির আভাস দেখা যায়। আশাবাদী হন বাংলাদেশিরাও।
ইন্দোনেশীয় সরকারের লক্ষ্য ছিল, স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের দাম লিটারপ্রতি ১৪ হাজার রুপিয়ায় (প্রায় ৮৩ টাকা) নামানো। কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণ না হওয়ার আগেই দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে তীব্র চাপের মুখে শেষপর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বাধ্য হয় উইদোদো প্রশাসন।
ইন্দোনেশিয়ায় পাম তেল রপ্তানি বন্ধের প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার (১৭ মে) রাজধানী জাকার্তায় বিক্ষোভ করেন শত শত কৃষক। সরকারের ওই সিদ্ধান্তে রোজগার অর্ধেকে নেমে যায় বলে অভিযোগ করেন তারা। নিষেধাজ্ঞা দ্রুততম সময়ে প্রত্যাহার না হলে এর চেয়েও বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন দেশটির পাম চাষিরা।
এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) পাম তেল রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন উইদোদো।