পানিতে ডুবে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বান্দরবানের সদর উপজেলা। এই উপজেলার ৮০ শতাংশ এলাকা এখন পানির নিচে। নেই বিদ্যুৎ ও মোবাইল ইন্টারনেট। সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির।
বাংলা ট্রিবিউনের বান্দরবান প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম বলেন, ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। আমার ঘরে নিচতলা পানির নিচে। পরিবার নিয়ে দোতলায় অবস্থান নিয়েছি। অনেক মানুষ পরিবার নিয়ে দৌতলায় অবস্থান নিয়েছেন। ডুবে গেছে অনেক আশ্রয়কেন্দ্র। অনেককেই আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মোবাইলে ইন্টারনেট নেই। নেটওয়ার্কও পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকার খোঁজ নেওয়ার জন্য কল করে কাউকেই পাওয়া যাচ্ছে না। একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি। সরকারি কর্মকর্তাদের নম্বরেও কল যাচ্ছে না।
জানা গেছে, টানা সাত দিনের লাগাতার বৃষ্টির কারণে ডুবেছে বান্দরবানের বেশিরভাগ নিম্নাঞ্চল। বৃষ্টি না থামার কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার রাত থেকে শহর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসের আশঙ্কাও জেগেছে। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সাঙ্গু নদীর পানি। প্লাবিত এলাকা ও পাহাড় ধসে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষের জন্য খোলা হয়েছে ১৯২টি আশ্রয়কেন্দ্র। এর মধ্যে সদরেই খোলা হয়েছে ২৪টি আশ্রয় কেন্দ্র।
সোমবার বান্দরবান বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মরত আবু তাহের রানা বলেন, চট্টগ্রামের দোহাজারীর সাবস্টেশন থেকে রবিবার রাত থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে শহরের কোথাও বিদ্যুৎ নেই। কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে তাও জানি না।
গতকাল জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, বান্দরবানে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পাহাড়ের ঝুকিপূর্ণ স্থান ও নিম্নাঞ্চলে বসবাকারীদের জন্য জেলায় ১৯২টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। আশ্রয় নেওয়া মানুষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণেনে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও তাদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখাসহ পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ সংরক্ষিত আছে।