জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) আয়োজনে খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে ইতালির উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২৩ জুলাই) ভোরে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (কিউআর-৬৪৩) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রোমের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিমানবন্দরে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, কূটনৈতিক কোরের ডিন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ সামরিক-বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
প্রধানমন্ত্রীর ইতালি সফর নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আগামী ২৪ থেকে ২৬ জুলাই ইতালির রোমে এফএও’র আয়োজনে খাদ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল যোগদান করবেন।
২৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী এফএও’র সদরদপ্তরে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ‘ফুড সিস্টেম অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন’ শীর্ষক প্লেনারি সেশনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। সফরকালে রোমভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইফাদ ও ডব্লিউএফপির নির্বাহী প্রধানরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী রোমে অবস্থানকালে ২৫ জুলাই ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইতালি সফরকালে সেখানের অবৈধ বাংলাদেশিদের বৈধ করার বিষয়টি দেশটির সরকারের কাছে তুলে ধরা হবে। ইতালিতে অবৈধ বাংলাদেশিদের বৈধ করার বিষয়টি আলোচনায় আমরা তুলে ধরবো।
২৪ জুলাই রোমে ইউরোপে নিযুক্ত বাংলাদেশের দূতদের নিয়ে বৈঠক বসবেন শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, ২৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী ইউরোপের ১৫টি দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে আয়োজিত ‘আঞ্চলিক দূত সম্মেলন’ এ অংশ নেবেন। এটা রুটিন ওয়ার্ক। প্রধানমন্ত্রী তাদের দিকনির্দেশনা দেবেন। তারা ডে টু ডে তাদের কাজের বর্ণনা দেবেন, সমস্যার কথা বলবেন। এর আগে সবাইকে নিয়ে আমরা ঢাকায় একসঙ্গে বসতাম। কিন্তু সবাইকে একসঙ্গে করতে গেলে কিছু ঝামেলা হয়। তাই প্রধানমন্ত্রী অঞ্চলভিত্তিক দূতদের নিয়ে বসেন।